
শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ হাসপাতালের প্রধান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক মাতুব্বর রেজোয়ান হোসেনের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় অবশেষে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এ অনিয়মের বিষয়টি নজর দারিতে নিয়ে ঝটিকা অভিযানে একটি তদন্ত টিম মাঠে নেমেছেন।
বুধবার বেলা ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের উপ-পরিচালকের নির্দেশনায় ৩ সদস্যর এ তদন্ত টিম হাসপাতালে সরেজমিনে এসে নানাবিধ অনিয়ম ও হিসাব রক্ষকের দুর্নীতির বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখেন।
সম্প্রতি মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারি কাম-হিসাব রক্ষক মাতুব্বর রেজোয়ান হোসেন র্দীঘদিন নিজ জন্মভূমিতে চাকুরি করার সুবাধে একের পর এক নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মীনা রানি ঠাকুর করোনা কালিন মৃত্যুতে তার (অবসর) পেনশনের কাজগপত্র ঠিক করে দেওয়ার নাম করে ছেলে সুভাংকর শিকদারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া, হিসাব রক্ষকের নিজ বাসভবনে পাকা ইমারত তৈরি করার কাজে রাজমিস্ত্রী মোহাম্মদ আলী মোল্লার কাজের মজুরির টাকা না দিয়ে তালবাহনা।
সর্বশেষ হাসপাতালের ৬ জন আউটসোসিং কর্মচারীদের নিকট থেকে এক বছরের বকেয়া বেতন উত্তোলনে কাগজপত্র ঠিক করে দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া। এ ছাড়াও ৪র্থ শ্রেনীর এক কর্মচারি (আয়া)’র বকেয়া বেতনের কাগজপত্র ত্রæটি সংশোধনের কথা বলে রুমে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী ওই নারী বাগেরহাট বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩ ও অধিকতর সংশোধনী-২০২০) এর ৯ (৪) (খ) ধারায় বিজ্ঞ আদালত ১৭ আগষ্ট অভিযোগ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি তদন্তের জন্য অফিসার্স ইনচার্জ মোরেলগঞ্জ থানাকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়াও হিসাব রক্ষক মাতুব্বর রেজোয়ান হোসেন এর বিরুদ্ধে হাসপাতালের এক আয়াকে কর্মস্থালে অনুপস্থিত দেখিয়ে চাকুরী চুত্য করে নিজ মেয়েকে উক্ত পদে চাকুরী দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন ভূক্তভুগী শাহিনা বেগম। এ রকম নানাবিধ অভিযোগের কারনে ক্ষুব্দ্র এলাকাবাসি। হিসাব রক্ষক মাতুব্বর রেজোয়ান হোসেনের বিচারের দাবিতে হাসপাতাল সড়কে মানববন্ধন করেছেন।
এ বিষয় মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মুজাহিদুল ইসলাম তদন্ত টিমের সত্ত্যতা স্বীকার করে বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ৩ সদস্যর এ তদন্ত টিম হাসপাতালে ঝটিকা অভিযানে এসে তদন্ত করেছেন। কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসান মাহামুদ এ টিমের প্রধান ছিলেন।
তদন্ত টিমের প্রধান জেলার কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসান মাহামুদ বলেন, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের উপ-পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনায় মোরেলগঞ্জ হাসপাতালের নানাবিধ অনিয়ম ও হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে এ তদন্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এর বাহিরে কিছু বলা যাবেনা। তদন্ত টিমের ৩জনই কচুয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত।






















