
হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম: সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য চাইতে গেলেই অধিকাংশ সময়েই হয়রাণির শিকার হন সাংবাদিকরা। নানান তালবাহানা করে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। ভোক্তারা যাতে আইনগতভাবে তথ্য পেতে পারেন এজন্য সরকার তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে তথ্য পাওয়ার অধিকার দিয়েছেন। কিন্তু সেই তথ্য অধিকার আইনকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন কিছু কিছু সরকারি কর্মকর্তা।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৯জুন স্থানীয় সাংবাদিক নুরবক্ত আলী নিয়ম মাফিকভাবে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) প্রদীপ কুমারের কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। তিনি আবেদনের মাধ্যমে তার কার্যালয়ের ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের তালিকা (পত্রিকার নাম, প্রতিনিধির নাম ও প্রকাশের তারিখসহ) তথ্য চেয়ে আবেদনটি করেন।
নির্ধারিত ২০ কার্যদিবস পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা কোনো তথ্য দেননি বা কোনো ব্যাখ্যা প্রদান করেননি।এরপর গত ২৯ জুলাই জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) বরাবর লিখিতভাবে আপিল করেন ওই গণমাধ্যমকর্মী।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুছ হোসেন বিশ্বাস জানান, ‘আপিলের কপি পাওয়ার পর আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে আবেদনকারীর চাহিত তথ্য জেলা কার্যালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
এদিকে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কর্তৃক নির্দেশনা প্রদানের পরও উলিপুর উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার কোনো তথ্য প্রদান করেননি। এ বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করেও কোন সাঁড়া না পেয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর তথ্য কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেন।
সংবাদকর্মী নুরবক্ত আলী জানান, ‘আমি আমার আইনসম্মত অধিকার ব্যবহার করে তথ্য জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর বারবার অবহেলা করেছে। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক।’
এ ব্যাপারে তথ্য কমিশনের তথ্য গবেষক রাবেয়া হেনার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অফিসের বাইরে অবস্থান করায় পরবর্তী কর্মদিবসে যোগাযোগ করতে বলেছেন।






















