• আজ ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 চিকিৎসক দম্পতি ও তিন শিশু সন্তান বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে তোলা সেলফি | আওয়ামী লীগের ভুল ছিল, আজকের অবস্থা ভুলেরই শাস্তি: আব্দুল হামিদ | বিধ্বস্ত বিমানে বেঁচে আছেন একজন, জানালেন কী ঘটেছিল! | লন্ডনে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সম্পত্তি জব্দ, যা বললেন সাংবাদিক জুলকারনাইন | প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের অনুরোধে সাড়া দিলেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী | নারায়ণগঞ্জে মধ্যরাতে যৌথবাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ২ | করোনা ফের বাড়ছে, ঢাকায় নতুন করে শনাক্ত ১০ জন | সাতক্ষীরায় ২টি তক্ষক সাপসহ আটক-১ | আমরা ভুল ও আত্মবিধ্বংসী সভ্যতা গড়ে তুলেছি: প্রধান উপদেষ্টা | ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন’ রাষ্ট্রের জন্য যে শর্ত দিলেন মাহমুদ আব্বাস |

নতুন করে আসতে পারে বন্যা: প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

| নিউজ রুম এডিটর ৭:৩৩ অপরাহ্ণ | জুন ২০, ২০২২ জাতীয়, বাংলাদেশ, লিড নিউজ

সিলেটে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির ক্রমোন্নতিতে সন্তুষ্ট না হয়ে দেশে নতুন করে সম্ভাব্য আরও বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২০ জুন) নিজ কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে সভাতিত্ব করেন তিনি।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার পূর্বাভাস যেমন দেখছি, তাতে একেবারে অসম্ভব কিছু না যে, পরে আবার এরকম বন্যা হতে পারে। আসামে ম্যাসিভ বন্যা হয়েছে। কিন্তু আসামের পানিটা ওইভাবে আসেনি, যেভাবে মেঘালয়ের পানিটা আসছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকদের বলে দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকদেরও বলা হয়েছে, আসামের পানিটা এলে তারা যেন প্রস্তুত থাকেন।’

বন্যাকবলিতদের পাশে দাঁড়াতে ও তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে প্রধানমন্ত্রী সিলেট সফরে যাচ্ছেন, জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বন্যার মতো এই ভয়াবহ দুর্যোগকালীন নির্দেশনা মোতাবেক সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে সবাইকে একসঙ্গে বসে বন্যা মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে। বিশেষত, কৃষিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এরপর বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে যেন ভাসমান বীজতলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখানে যে পানি এসেছে, সেটা মেঘালয় দিয়ে এসেছে। মেঘালয় দিয়ে আসার কারণে একটা স্পেসিফিক জোনে পানিটা বেশি ছিল। আসাম ও ত্রিপুরাতেও কিছু বৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু সেটার ইম্প্যাক্ট ঠিক আমাদের এখানে সেভাবে পড়েনি।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এবার বন্যায় যেভাবে পানি এসেছে, গত ৫০-৬০ বছরের মধ্যে তা হয়নি। যে পানিটা এসেছে, সেটা সামলানো কঠিন। পানিটা এত দ্রুত এসেছে যে, কাউকে প্রস্তুত হওয়ার মতো সুযোগও দেয়নি। আমাদের সৌভাগ্য যে, শুরু থেকে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চারপাশে দেয়াল তৈরি করে সুনামগঞ্জ সদরের খাদ্যগুদাম রক্ষা করা হয়েছে। একটা গুদামে সার ছিলো, সেটাও আমরা রক্ষা করতে পেরেছি। সিলেটের বন্যায় সবচেয়ে প্রশংসিত বিষয়, সেখানকার মানুষের ধৈর্য। আমি বহু বন্যা হ্যান্ডেল করেছি। সিলেটে মানুষ ধৈর্যের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিচ্ছে। মানুষ কোথাও ক্ষুব্ধ হয়নি।’