• আজ ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি | হত্যাকান্ড ধামাচাঁপা দিতে ওসির ‘জজ মিয়া’ নাটক | নারী নিপীড়ন ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি | শেখ হাসিনা-রেহানা পরিবারের জমি-ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ | মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামি রিমান্ডে | গাড়ি চাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত বনানী – মহাখালী রাস্তা অবরোধ | আশুলিয়া ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি |

৬ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে নিজেদের মান বাঁচালো ব্রাজিল

| নিউজ রুম এডিটর ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ | মার্চ ২৭, ২০২৪ খেলাধুলা, ফুটবল, লিড নিউজ

যে ম্যাচ শুরু হয়েছিল সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে, সেই ম্যাচটাই এবারের ইন্টারন্যাশনাল উইন্ডোর সেরা ম্যাচ হয়ে থাকল। স্পেনের বার্নাব্যু স্টেডিয়াম সাক্ষী হলো আরও এক দুর্দান্ত ম্যাচের।

৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে ঘরের মাঠে শুধু জয় উদযাপনের অপেক্ষা স্পেনের। তবে এমন সময় ডি বক্সের ভেতর গালেনোকে ফাউল করে ব্রাজিলকে পেনাল্টি উপহার দিলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। সফল স্পট কিক থেকে সেলেসাওদের উচ্ছ্বাসে ভাসান লুকাস পাকেতা। এতে করে কোচের দায়িত্ব নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত থাকলো দোরিভাল জুনিয়র।

শুরুর ১৫ মিনিটের হিসেবে সেলেসাওদের ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। সেখানেই ভুল করে বসে ব্রাজিল। বক্সের ভেতর দুর্দান্ত খেলতে থাকা লামিনে ইয়ামালকে ফাউল করে বসেন জোয়াও গোমেজ। স্পট কিকে ভুল করেননি রদ্রি। গোল করে এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের।

এদিন পুরো ম্যাচেই অবশ্য দুর্দান্ত ছিল ইয়ামাল। বার্সেলোনার এই তরুণ রিয়ালের মাঠে গিয়েও পেয়েছেন ব্যাপক সমর্থন। জাতীয় দলের খেলা হলেও স্প্যানিশ ফুটবল এবং রাজনৈতিক বিতর্কে এমন কিছু একটু বিরলই বটে। ম্যাচে স্পেনের তিন গোলেই অবদান ছিল এই তরুণ ফুটবলারের। প্রথমে পেনাল্টি আদায় করেছেন। এরপর অ্যাসিস্ট করেছেন। আবার শেষ গোলে তারই বাড়ানো পাসে ফাউল হওয়ায় পেনাল্টি পায় স্পেন। বদলি হওয়ার সময় তাই পেয়েছেন বিপুল করতালি। পিছিয়ে পড়েও অবশ্য এদিন প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারছিল না ব্রাজিল।

ম্যাচের ১৭ মিনিটে ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোর সমন্বয়ে প্রথম বলার মতো আক্রমণে যায় ব্রাজিল। যদিও সেই আক্রমণ থেকে গোল আসেনি। এরপর আরও কয়েকদফা আক্রমণ চালিয়েও হতাশ হতে হয়েছে সফরকারীদের।

৩৬ মিনিটে স্পেনকে দুর্দান্ত এক গোলে ২-০ গোলের লিড এনে দেন দানি অলমো। গোলের সহায়তাকারী সেই ইয়ামাল। তার পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর একাধিক ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে লক্ষ্যভেদ করেছেন অলমো। দুই গোল হজমের পরেই অবশ্য এক গোল শোধ করে সেলেসাওরা। সেটাও ওই স্পেনিশ গোলরক্ষকের কল্যাণে। উনাই সিমন কি বুঝে যেন রদ্রিগোর পায়েই বল তুলে দিলেন। রিয়াল তারকা নিজের ঘরের মাঠে তা আর মিস করলেন না। ২-১ গোলের ব্যবধানেই টানেলে ফেরে দুই দল।

বিরতির পর বিস্ময়-বালক এনদ্রিককে মাঠে নামান কোচ দরিভাল। কদিন আগেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নায়ক হয়েছেন। আজ নিজেকে নিয়ে গেলেন অন্য উচ্চতায়। কিছু দিন পর বার্নাব্যুতেই আসবেন তিনি। নিজের আগমনী জানান দিতেই কি না করলেন দুর্দান্ত এক গোল। কর্নার থেকে জটলায় বল পেয়ে অসাধারণ এক ভলিতে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরায় তিনি।

শেষদিকে আবার ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় স্পেন। ৮৫ মিনিটে স্পেন দ্বিতীয় পেনাল্টি পেলে ব্রাজিল আবার পিছিয়ে পড়ে। রদ্রি স্পটকিকে গোল করে স্পেনকে লিড এনে দেন ৩-২ গোলে।

যদিও নির্ধারিত সময়ের আগে রদ্রির স্পটকিকে আরও একবার লিড নিয়েছিল দ্য রেড ফিউরি, কিন্তু তা আর ধরে রাখতে পারলো কই? ১১ বছর পর দু’দলের লড়াইটা শেষ হলো রোমাঞ্চ ছড়িয়ে। কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিলের এমন পারফরম্যান্স দলকে আরও উজ্জ্বীবিত করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।