• আজ ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি | হত্যাকান্ড ধামাচাঁপা দিতে ওসির ‘জজ মিয়া’ নাটক | নারী নিপীড়ন ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি | শেখ হাসিনা-রেহানা পরিবারের জমি-ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ | মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামি রিমান্ডে | গাড়ি চাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত বনানী – মহাখালী রাস্তা অবরোধ | আশুলিয়া ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি |

কমপ্লিট শাটডাউন পালনে রাজপথে ইবি শিক্ষার্থীরা, ক্যাম্পাসকে ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা ।

| Evan Adil ৭:০৫ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৮, ২০২৪ জাতীয়

কমপ্লিট শাটডাউন পালনে রাজপথে ইবি শিক্ষার্থীরা, ক্যাম্পাসকে ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা

মানিক হোসেন, ইবি:
দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’র অংশ হিসেবে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ক্যাম্পাসকে ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩ টায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের দলীয় ব্যানার খুলে পুড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা ও ছাত্রলীগ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রধান ফটকে পোষ্টার ঝুলিয়ে দেয়।

এসময় শিক্ষার্থীদের ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ-দাদার’, ‘পুলিশ ছাড়া মাঠে নাম, ভুলিয়ে দিবো বাপের নাম’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘আমার ভাই শহীদ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সীমান্তে মানুষ মরে, বিজিবিরা কি করে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘হামলা করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’ সহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, যে সময় আমাদের চাকরির পড়াশোনা করার কথা সেই সময় আমাদের রাজপথে অধিকার আদায়ের জন্য নামতে হয়েছে। আমরা আমাদের অধিকার চাই, আমরা চাই কোটার যৌক্তিক সংস্কার। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলন পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি দিয়ে দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। গুলি করে একের পর এক শিক্ষার্থীদের মেরে ফেলা হচ্ছে। এই সময়েও অনেক শিক্ষার্থী ঘরে বসে আছে, পড়াশোনা করতেছে। সেইসকল শিক্ষার্থীদের নিজ অধিকার আদের জন্য রাজপথে আসার আহ্বান জানাই।

তারা আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের এই সংকটময় সময়েও অভিভাবক দাবি করা শিক্ষকেরা নিরব হয়ে আছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এতোদিন শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে ছিলো কিন্তু হঠাৎ করে তাদের কর্মবিরতি শেষ। তারা ব্যাস্ত আছে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে। ঐ সকল শিক্ষকদের ধিক্কার জানাই।

মানিক হোসেন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি