
নিউজ ডেস্ক: ঢাকার ধামরাইয়ে বিভিন্ন মৌজায় জমির বাজার মূল্যের চেয়ে উৎস কর বেশি ধার্য করায়ে একদিকে জমি ক্রয়- বিক্রয়সহ জমির সাফকবলা নিবন্ধনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমানে কমে গেছে।
অন্য দিকে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় জমির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণপূর্বক প্রকার বেধে উৎস কর কমানোর দাবি করছেন জমির ক্রেতা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে।
উপজেলার কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার জমি ক্রয়-বিক্রয়ে নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রতি শতাংশে ৩০ হাজার টাকা উৎস করসহ রেজিস্ট্রেশন ফি ১ শতাংশ, স্ট্যাম্প শুল্ক ১.৫ শতাংশ ও স্থানীয় সরকার কর ৩ শতাংশ দিতে হচ্ছে । এ নিয়মের ফলে বিপাকে পড়েছেন জমির ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। চলতি ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হওয়ার পর জমির সাফকবলা রেজিস্ট্রেশন উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
জানা গেছে, উপজেলা গোক্ষুরা মৌজায় নাল জমির সরকারীভাবে সাবকবলা দলিলে প্রতি শতাংশের নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯৩৭ টাকা। কিন্তু এর উৎস কর ধরা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। চট্রগোপালপুর মৌজায় সাবকবলা দলিলে নিবন্ধন ফি ৫৭৭৩ টাকা এর উৎস কর ৩০ হাজার টাকা। কাছৈর মৌজায় নাল জমির সাবকবলা দলিলে নিবন্ধন ফি ১৪০০৭ টাকা হলেও উৎস করে দিতে হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। সুন্দর কাঁঠালিয়া মৌজায় সাব কবলা দলিলে নিবন্ধন ফি ২১ হাজার টাকা হলে উৎস কর ৩০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। বাশকোঠা মৌজায় সাবকবলা দলিলে প্রতিশতাংশ নিবন্ধন ফি ১৩৯৩১ টাকা এর উৎস কর ৩০ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে গ্রহীতাকে।
গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে দলিল নিবন্ধন হয়েছে ২,২০৮টি। এর মধ্যে ৩৭২টি সাফকবলা দলিল হয়েছে। বাকিগুলো বায়নানামা দলিল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, পারিবারিক হেবা ঘোষণা দলিল, দান ঘোষণা দলিল করা হয়েছে। সরকারের সবচেয়ে রাজস্ব আদায়ের একমাত্র দলিল হচ্ছে সাফকবলা দলিল।
একাধীক দলিল লেখক জানিয়েছেন, উৎসে কর বাড়ানোর কারণে জমির সাবকবলা রেজিস্ট্রেশন অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে।
আগে যেখানে মাসে প্রায় দেড় হাজার থেকে দুই হাজার দলিল হতো বর্তমানে সেখানে হচ্ছে মাত্র এক হাজার।
কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, জমি বিক্রির ওপর উৎসে কর বৃদ্ধির ফলে সাফকবলা দলিলে ভাটা পড়েছে।






















