• আজ ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম: হাসনাত | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব | টাকা ছাপিয়ে আবারও ২৫শ কোটি টাকা ঋণ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক | মাগুরার নোমানী ময়দানে সেই শিশুর জানাজা অনুষ্ঠিত | মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন মাগুরার সেই আছিয়া | এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি |

শহীদ মিনার থেকে ফিরেই ফেসবুকে বার্তা সমন্বয়ক হাসনাতের

| নিউজ রুম এডিটর ৯:০৪ পূর্বাহ্ণ | আগস্ট ৪, ২০২৪ লিড নিউজ, শিক্ষাঙ্গন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠনটির সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেন।

এদিকে শহীদ মিনার থেকে ফিরেই ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘এইমাত্র শহীদ মিনার থেকে এসেছি। সেখানে ছাত্র-জনতার যে গণবিস্ফোরণ হয়েছে, সেখানে প্রতিটি মানুষের এক দফার প্রতি সমর্থন প্রকাশিত হয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত আমাদের এক দফা বাস্তবায়ন হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত শহীদ মিনারের প্রাঙ্গণ থেকে অসহযোগ আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্য যে ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে পালন করবেন। আমরা ঘোষণা করতে চাই, যতদনি না পর্যন্ত আমাদের বিজয় আসবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ রোববার (৪ আগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয়। এই নতুন কর্মসূচি সফল করার জন্য সবার উদ্দেশে ১৫টি নির্দেশনা দেন তারা। সেইসঙ্গে এই আন্দোলনের আওতামুক্ত থাকবে কী কী, সেটিও জানানো হয়েছে।

দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এসব নির্দেশনার কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

জরুরি নির্দেশনাগুলো হলো:

১। কেউ কোনো ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা দেবেন না।

২। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না।

৩। সব ধরনের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কল কারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।

৪। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: সংঘর্ষে আহত ইমনের মৃত্যু

৫। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিট্যান্স দেশে পাঠাবেন না।

৬। সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন।

৭। বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না! কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না।

৮। দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাইবোনেরা কাজে যাবেন না!

৯। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।

১০। জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রোববার ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।

১১। পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ছাড়া কোনো ধরনের প্রটোকল ডিউটি, রায়ট ডিউটি ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধু থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।

১২। দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।

১৩। বিজিবি ও নৌবাহিনী ছাড়া অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।

১৪। আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।

১৫। বিলাসদ্রব্যের দোকান, শো রুম, বিপণিবিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।

তবে হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা যেমন-ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণ সহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহন সেবা চালু থাকবে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।