• আজ ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 গাজার চারপাশে এবার ‘কিল জোন’ বানাচ্ছে ইসরাইল! | ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ | সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি | দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে তিন বিভাগে | সত্য সংবাদ প্রকাশে বিদেশি গণমাধ্যমের মিথ্যার ওপর চুনকালি পড়বে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা | শরীয়তপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ | জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা | ভারতের সম্পর্ক কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়: মোদি | বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন | শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোসহ মোদির সঙ্গে যেসব বিষয়ে কথা হলো ইউনূসের |

আসাদুজ্জামান কামালের সাক্ষাৎকার মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

| নিউজ রুম এডিটর ৩:৩৪ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ২৫, ২০২৫ জাতীয়, বাংলাদেশ

 

ভারতের দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ‘ইসলামী সন্ত্রাসী এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেক পেইজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস প্রকাশিত গণহত্যার পলাতক আসামি আসাদুজ্জামান খান কামালের সাক্ষাৎকার মিথ্যাচার এবং ভুল তথ্যে পরিপূর্ণ।”

এতে আরও বলা হয়, “ভারতে আত্মগোপনে থাকা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তথ্য যাচাই না করেই তার মিথ্যাচার প্রচার করেছে।”

আসাদুজ্জামান খান কামাল তার সাক্ষাৎকারে বলেন, “গত বছরের ৩ থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে প্রায় ৪৬০টি পুলিশ স্টেশন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র পুলিশ স্টেশন থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।”

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, থানা থেকে মোট ৫,৭৫০টি অস্ত্র লুট করা হয়েছে এবং এর বেশিরভাগই ৫ আগস্ট লুট করা হয়। তবে এরই মধ্যে লুট হওয়া অস্ত্রের ৪ হাজার ৩৫৮টি উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এছাড়া বাকিগুলো উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আন্দোলনের সময় মোট ১১৪টি থানায় হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ৫৬টি থানা ভাঙচুর করা হয়েছে, সব থানাই এখন কার্যকর।

প্রেস উইং বিবৃতিতে আরও বলেছে, “আসাদুজ্জান খান কামাল তার সাক্ষাৎকারে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ‘ইসলামী সন্ত্রাসী এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছেন। এটি আরও প্রমাণ করে যে, শিশুসহ এক হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা ও প্রায় ২০ হাজার মানুষকে আহত করার জন্য পতিত স্বৈরাচার হাসিনা তার সহযোগী এবং তার দলের এখনও কোনও অনুশোচনা নেই।”

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে কামাল বাংলাদেশের আদালতে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং হাসিনা ও তার অনুসারীরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত থেকে ষড়যন্ত্র করছে তারই প্রমাণ।”

কামাল দাবি করেন, এসব হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামি হওয়ার পর খুনের শিকার ৫৪ জন ব্যক্তি ফিরে এসেছেন। তার তবে এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কোনও সরকারি বা স্বাধীন সূত্র দ্বারা যাচাই করা ছাড়াই এটি প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে প্রেস উইং।

কামাল দাবি করেছেন যে বাংলাদেশের ‘গণমাধ্যম সম্পূর্ণরূপে তাদের (অন্তর্বর্তী সরকারের) নিয়ন্ত্রণে।’

তবে প্রেস উইং বিবৃতিতে দাবি করেছে, “এটি একটি অত্যন্ত ভুল বক্তব্য। কারণ ২০২৪ এর ৮ আগস্টের পর থেকে কোনও স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কোনও সরকারি সংস্থার দ্বারা কোনও বাধার সম্মুখীন হয়নি এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।”