• আজ ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ব্লকেড নয়: হাসনাত

| নিউজ রুম এডিটর ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ | মে ১০, ২০২৫ রাজধানী, রাজনীতি, লিড নিউজ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ৩ দফা দাবিতে শনিবার (১০ মে) শাহবাগে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এছাড়া দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতেও গণজমায়েত কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

নাগরিক ভোগান্তি কমাতে শুধু শাহবাগেই ব্লকেড কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর মিরপুর, বাড্ডা, রামপুরা, সায়েন্সল্যাবসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও সড়ক-মহাসড়কে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে ব্লকেডের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।

তবে এ ধরনের কর্মসূচি পালন না করার আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

শুক্রবার দিবাগত রাতে (১০ মে) দেয়া এক ফেসবুক পোস্টে সবাইকে শাহবাগের গণজমায়েতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লিখেছেন, ‌‘শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারাদেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড দেবেন না। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন। কিন্তু ব্লকেড না, ব্লকেড খুলে দিন।’

এরআগে, শুক্রবার রাতে (৯ মে) শাহবাগ থেকে গণজমায়েতের ঘোষণা দেন হাসনাত। হাসনাত বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও সহযোগী নেতাদের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে বিচার নিশ্চিত ও জুলাই ঘোষণা পত্রের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া রাতে এক ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত দ্রুত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

ফেসবুক পোস্টে নাহিদ লিখেন, ‘শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সব শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে।’

আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন নেতাকর্মীরা। শুক্রবার সকালে সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এরপর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনের সমাবেশ স্থগিত করে শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। এরপরই একযোগে মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করেন ছাত্র-জনতা। ৪টা ৪০ মিনিটে শাহবাগের মূল সড়কে বসে পড়েন হাজারো মানুষ। স্লোগানে প্রকম্পিত হয় শাহবাগ এলাকা।