

সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃমুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মন্দিরের জায়গার জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংশাকে কেন্দ্র করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুবীর চক্রবর্তীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিরবার সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার পূর্ব শিয়ালদি ব্রিজের ঢালে হামলার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিন সকালেই হামলার শিকার সুবীর চক্রবর্তী বাদী হয়ে আরমহল গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে বর্তমানে ফেগুনাশার (শিব মন্দির সংলগ্ন) গ্রামের বাসিন্দা শাজাহান সিরাজকে বিবাদী করে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মন্দিরের জায়গা নিয়ে মিমাংসার জেরে শাজাহান সিরাজ সুবীর চক্রবর্তীর উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। এরই জেরে শনিবার সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার সংলগ্ন পূর্ব শিয়ালদি ব্রিজের ঢালে সুবীর চক্রবর্তীকে এক পেয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সুবীর চক্রবর্তী তার গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে তাকে গাড়ী থেকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা ও গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। পরে ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে বিবাদীর হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুবীর চক্রবর্তীর উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। অন্যদিকে ৫০ বছর বয়সী একজন সাংগঠনিক ব্যক্তিকে মন্দিরের জায়গার মিমাংসা করায় কারণে তার উপর হামলার ঘটনাটিকে সামাজিক অবক্ষয় হিসেবে বিবেচনা করছেন সুশীল সমাজের সচেতন নাগরিকরা। হামলার শিকার ভুক্তভোগী সুবীর চক্রবর্তী তার উপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেন। অভিযুক্ত শাজাহান সিরাজের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি!
রএ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।