• আজ ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাদের মির্জার টর্চার সেলে জাতীয় পার্টির নেতাকে নির্যাতন

| নিউজ রুম এডিটর ৯:৪৬ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১ সারাদেশ

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার পৌরভবনের টর্চার সেলে আটক করে জাতীয় পার্টির নেতা মো. সাইফুল ইসলাম স্বপনকে (৫৯) নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার সন্ধ্যার পূর্বে বসুরহাটের কালা মিয়া ম্যানশনের সামনে থেকে জাপা নেতা স্বপনকে মেয়র কাদের মির্জার নির্দেশে পৌরভবনে তার টর্চার সেলে নিয়ে আটক করে তার অনুসারীরা।

ওই সময় থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তার ওপর কাদের মির্জাসহ তার বাহিনী নির্যাতন চালায়। টর্চার সেলে নেওয়ার আগে কাদের মির্জার অনুসারীরা জাপা নেতা স্বপনের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

সাইফুল ইসলাম স্বপন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ (কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। স্বপন উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মোখলেছুর রহমান পণ্ডিত বাড়ির উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি জিয়াউল হক জিয়ার ছেলে।

নির্যাতিত জাপা নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপনের ছেলে শাকিল মোবাইল ফোনে অভিযোগ করে জানান, কী কারণে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার বাবাকে বসুরহাট পৌরসভার তৃতীয়তলায় একটি রুমে টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করেছে, তা তারা বলতে পারছেন না।

সংবাদ পেয়ে ওই রাতে জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফ মেম্বারসহ নেতারা পৌরসভায় গিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে তার বাবাকে উদ্ধার করে এনেছেন। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাপা নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপনের মাথা, হাত-পাসহ সারা শরীর পিটিয়ে থেঁতলে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার কারণে আমাদের পুরো পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় আছে।

শাকিল আরও জানান, তার বাবা হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় আছেন, কথা বলতে পারছেন না। মাথায় আঘাতজনিত কারণে তিনি অচেতন রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি লতিফ মেম্বার জানান, মেয়র কাদের মির্জা জাতীয় পার্টির সভাপতির মাধ্যমে আমাকে তার অফিসে ডেকে নেন। এরপর আমার কাছ থেকে একাধিক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে স্বপনকে ছেড়ে দেন।

তিনি আরও জানান, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে তিনি ভয়ে এ বিষয়ে বেশি কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে গণমাধ্যম কর্মীদের এড়িয়ে যান। নির্যাতনের বিষয়ে তিনি অধিকতর জানার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলতে পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিএন/জেটএস

, ,