পঁচাত্তরপরবর্তী সামরিক বাহিনীতে হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওই সময় জেলখানায় যেসব ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তার তথ্য পাওয়া যাবে। আমরা খুঁজে বের করব। এ ছাড়া সে সময় ফায়ারিং স্কোয়াডে যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদেরও খোঁজ নেওয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালের সেনা হত্যাকাণ্ড সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। এতদিন এটা নিয়ে তেমন কথা হয়নি। আপনারা এ বিষয়গুলো নিয়ে এখন কথা বলছেন, এটা ভালো।১৯৭৫ সালের পর থেকে প্রকৃতপক্ষে কত মানুষ হত্যা হয়েছে, সেটা এখনো জানা নেই। আমি অনেক পরিবারের কাছে গিয়েছি। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের আর্তনাদ শুনেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৭ সালে কারাগারে কত মানুষ হত্যা করা হয়- তা এখনো কেউ জানে না। এগুলো নিয়ে কেউ এতদিন কথা বলেনি। এখন আপনারা এটি নিয়ে কথা বলছেন, এটা ভালো। আমি নিজেও তো এ ধরনের ক্যুর ভুক্তভোগী।দাবি যেহেতু উঠছে আমি মনে করি এটা নিয়ে কাজ করা উচিত।সরকার এটি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।
শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরপরবর্তী সময়ে অনেক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। সেই সব সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনদের খোঁজ নেবে সরকার।
১৫ আগস্টে স্বজন হারানো পরিবারগুলোকে মামলা করারও সুযোগ দেওয়া হয়নি জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা এ সময় আরও বলেন, আমার বাবা-মা-ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডে আমি মামলা করতে পারিনি। মামলা করতে দেওয়া হয়নি।
কপ-২৬ সম্মেলন এবং যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফর নিয়ে অবহিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরের ওপর সাধারণ আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে তার সদ্যসমাপ্ত সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী ৩১ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গ্লাসগো, লন্ডন ও প্যারিসে সরকারি সফরকালে কপ-২৬ এ বিশ্বনেতাদের শীর্ষ সম্মেলন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ২০২১, ইউনেস্কো সদরদপ্তরে সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান, ইউনেস্কোর ৪১তম সাধারণ সম্মেলন, প্যারিস শান্তি ফোরাম, ইউনেস্কোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।