নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় চুরির প্রতিবাদ করায় একটি বসতবাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এসময় বসতবাড়ির আসবাবপত্র, টাকা-পয়সা, স্বর্নের গহনাসহ যাবতীয় মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই কয়েকঘন্টা আগেও ওই বসতভিটায় একটি পরিবারের সাজানো গোছানো সংসার ছিল। শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের কা ন খাঁ পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী আলমগীর কবির বাদী হয়ে মান্দা থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
ভূক্তভোগী কা ন খাঁপাড়া গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে আলমগীর কবির জানান, তাদের বাড়ির পেছনে লাগানো গাছ থেকে চুর করে তেঁতুল ও সুপারি নামানোর সময় তার স্ত্রী লাভলী এবং মা আলেকা বেওয়া প্রতিবাদ করেন। এমতাবস্থায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকে বিভিন্নধরনের ভয়ভীতি এবং হুমকি প্রদান করে প্রায় ২৫’শ টাকার তেঁতুল ও সুপারি চুরি করে নিয়ে চলে যান।
এর কিছুক্ষণ পর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কা ন খাঁ পাড়ার প্রতিপক্ষ আব্দুস সালামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, মৃত আশরাফ আলীর ছেলে জালাল উদ্দিন, জিয়াউর রহমান খাঁ’র ছেলে বাপ্পী,মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন, আফজালের ছেলে আরমান, মৃত মফিজ খাঁ’র ছেলে মুন্টু খাঁ ও আলাউদ্দিন খাঁ এবং সূর্যনারায়নপুর খোয়াজপাড়ার আনোয়ারের ছেলে ইমরানসহ শতাধিক ভাড়াটিয়া বাহিনী বাঁশের লাঠি,লোহার রড, হাঁসুয়া, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তাদের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। ভয়ে পরিবারের লোকজন অন্যত্র গিয়ে আত্মগোপন করার সময় ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে তান্ডব চালিয়ে হামলাকারীরা ভূক্তভোগীর স্ত্রী লাভলী এবং মা আলেকা বেওয়াকে এলোপাথারিভাবে মারপিট করে তাদের বসতবাড়ির ২৯ হাজার টাকার আসবাবপত্র ভাংচুর, নগদ ৬৬ হাজার টাকা এবং আনুমানিক ৯০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্নের গহনাসহ যাবতীয় মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এছাড়াও ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বসতবাড়ির অন্যান্য আসবাবপত্র । লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সাংসারিক জিনিসপত্র। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের সাজ্জাদ হোসেনসহ অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।