• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মান্দায় অভিনব কায়দায় জিম্মি করে মোটরসাইকেল,মোবাইল এবং টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

| নিউজ রুম এডিটর ৬:৩৮ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২ নওগাঁ, সারাদেশ

মাহবুবুজ্জামান সেতু,মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় অভিনব কায়দায় জিম্মি করে মোটরসাইকেল মোবাইল এবং টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আটকিয়ে রেখে মারপিটসহ খুন জখম গুম করার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বকভাবে ফাঁকাস্ট্যাম্প এবং ব্যাংকের ব্ল্যাঙ্ক চেকে স্বাক্ষর নেয়ায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে গত ৭ ফেব্রুয়ারি মান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইউনুছ আলী (৫২)নামে ব্যাক্তি। তিনি কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের নিচ কুলিহার গ্রামের মৃত আনার আলীর ছেলে।

অভিযুক্তরা হলেন, কাঁশোপাড়া গ্রামের মোশারফ মল্লিকের ছেলে শহিদুল ইসলাম মল্লিক (৩২),নাপিতপাড়া গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রশিদ (৪৫) ও মামুনুর রশিদ ওরফে আলম, একই গ্রামের আমের আলীর ছেলে বাবুল হোসেন (৩৫),রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের ইন্দ্র চন্দ্রের ছেলে বিধান চন্দ্র (২৯) এবং কাঁশোপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে উজ্জল হোসেন (২৬)।

অভিযোগসূত্রে জানাগেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ভূক্তভোগী ইউনুছ আলীর এক মামাশশুরের কাছে থাকা ধান এবং সরিষা বিক্রয়ের ১লক্ষ টাকা তাকে দিয়ে তার মাধ্যমে ঢাকায় অবস্থানরত তার ছোট মামা শশুর সার্জেন্ট আবুল হোসেনের কাছে পোঁছে দেওয়ার জন্য বলে। উক্ত টাকা নিয়ে তিনি মোটরসাইকেল যোগে কুলিহার বাজারে এসে আতিকুর রহমান নামে এক ব্যাক্তির চায়ের দোকানে চা খাওয়ার জন্য বসে ছিলেন। এমতাবস্থায় নাপিতপাড়ার বজলুর রশিদের ছেলে অঅব্দুর রশিদ তাকে দেখতে পেয়ে মোটরসাইকেলযোগে তার বাড়ি সিংগী বাজারে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলায় তিনি তাকে মোটরসাইকেলযোগে তাকে সিংগী বাজারে পৌঁছে দিতে যান। এরপর তিনি তাকে সিংগী বাজারে বসিয়ে রেখে তার মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে ঔষুধ দিয়ে আসার কথা বলে মোটরসাইকেলটি নিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও সে আর বাজারে না আসার কারণে তার কাছে ফোন দিলে তিনি তার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলটি নিয়ে আসার কথার বলেন। তার কথামত মোটরসাইকেলটি নেওয়ার জন্য গেলে তাকে আটকিয়ে রেখে তার কাছে থেকে টাকা পাবে বলে চাপসৃষ্টি করে এবং তার কাছে থাকা সমুদয় নগদ টাকাপয়সা, মোবইল এবং মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে বাড়িতে ফোন দিয়ে ব্যাংকের ফাঁকা চেক আনার কথা বলে মারপিট শুরু করে।

পরে জীবন রক্ষার তাগিতে প্রাণের ভয়ে বাধ্য হয়ে বাড়িতে ফোন দিয়ে তার স্ত্রীকে ব্যাংকের চেক দিতে বলেন। পরবর্তীতে ওই রাতেই অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম ও বিধান চন্দ্র তার বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং চেকবই নিয়ে আসার পর ৭টি ফাকাঁচেকসহ তাদের কাছে থাকা ৭টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বকভাবে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে পরের দিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেন। এঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চা ল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

মান্দা থানার ওসি-তদন্ত মেহেদী মাসুদ বলেন, ভূক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে একটি ডায়াং-৮০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ফাঁকা স্ট্যাম্প এবং চেকগুলো উদ্ধারসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।