• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীর পিতার জন্মবার্ষিকীর দিনে চার নাবালক শিশুসন্তান সহ পুলিশের এটিএসআই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার এতিম মেয়ে(স্ত্রী)কে!

| নিউজ রুম এডিটর ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ | মার্চ ১৮, ২০২২ লিড নিউজ, সারাদেশ, সিলেট

বিশেষ প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবর্ষিকীর দিনে ও জাতীয় শিশু দিবসে পুলিশের এক গুণধর এটিএসআই প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার এতিম মেয়ে(স্ত্রী)কে বর্বরভাবে শারিরীক নির্যাতনের পর ফের নাবালক চার শিশু সন্তানসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৭) মার্চ বিকেলে এক কাপড়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বাদাঘাটের ছড়ারপাড় গ্রামের বাড়ি থেকে গুণধর মায়ের সহযোগিতায় নাবালক শিশুসন্তান সহ এক কাপড়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার এতিম মেয়েকে।

অভিযুক্ত পুলিশের এটিএসআইর নাম,শফিকুল ইসলাম। তিনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামের মৃত কালু ফকিকের ছেলে। বর্তমানে সিলেট জেলা পুলিশ লাইনসে এটিএসআই হিসাবে কর্মরত রয়েছেন শফিকুল।

বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমের পক্ষ হতে নাবালক শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেয়া ও ইতিপুর্বে বর্বোরিতভাবে শারিরীক নির্যাতন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এটিএসআই শফিকুল ইসলাম পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে স্ত্রী বাড়ি থেকে চলে গেছে দাবি করলেও এর স্বপক্ষে কোন প্রমাণাটি উপস্থাপন না করতে পেরে তার ব্যাক্তিগত মুঠোফোনের (০১৭১৮-৬০২৪১৩) সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পুর্বে বলেন, শুক্রবার সকালের মধ্যে বিষয়টি মিটমাট করে ফেলা হবে।

এদিকে স্বামীর গ্রামের বাড়ি থেকে শাশুড়ির সহযোগিতায় নাবালক চার শিশুসন্তান সহ তাড়িয়ে দেয়ার পর বৃহস্পতিবার সন্ধায় সন্তানদের নিয়ে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার এতিম মেয়ে উপজেলার টেকেরঘাটে তার খালার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে পারিবারীক সুত্রে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতা সহোদর বোনের উপর গত ১৮ বছর ধরে চলা শারিরীক, মানসিক নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টেকেরঘাট (লাকমা)’র প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তারেক আজিজ বললেন, আমার বাবা মা কেউ জীবিত নেই। বাবা মা থাকতে গত প্রায় ১৯ বছর পুর্বে অপ্রাপ্ত বয়স্কা অবস্থায় আমার কনিষ্ট বোনকে উপজেলার বাদাঘাটের ছড়ার পাড় গ্রামের মৃত কালু ফকিরের ছেলে পুলিশ কনষ্টেবল শফিকুল ইসলামের সাথে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে দেয়া হয়।

বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আমার বোনের উপর নীরবে চলে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন। সংসার ঠিকে যাবে এ আশায় নির্যাতন সয়ে সয়ে তাদের কো জুড়ে আসে দুই ছেলে ও দুই কন্যাসন্তান। চার শিশু সন্তানই নাবালক মাধ্যমিক ও প্রাথমিকে পড়ু–য়া।

এদিকে ভগ্নিপতি শফিকুল তার মা ও পরিবারের লোকজনের প্ররোচনায় অদৃশ্য কারনে প্রায়ই আমার বোনকে সংসার থেকে তাড়িয়ে দিতে বেধরকভাবে মারপিট করে আসছে। এমন পৈশাশিক শারিরীক নির্যাতনে অভ্যস্থ হয়ে উঠায় চলতি বছরের ফেব্রয়ারির শেষ দিকে সিলেট পুলিশ লাইসন থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসার পর আমার বোনকে মাটিতে শুইয়ে বেধরকভাবে পিটিয়ে চোখ ও শরীর রক্তার্থ জখম করে। অজ্ঞান হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ার পরও লাঠি দিয়ে দু’পায়ের তলায় ফের টিপিয়ে জখম করে। এরপর সামাজিক চাপে পড়লে গোপনে আমার বোনকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাপপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।

এদিকে গ্রামের বাড়িতে টিনশেড ঘর তৈরীতে থাকা কাঠমিস্ত্রীদের পাওনা না মিটিয়ে উল্টৈা মিস্ত্রীদের যন্ত্রপাতি আটকে রাখার কথা বললে কৌশলে মিস্ত্রীরা তাদের যন্ত্রপাতি নিয়ে চলে যাওয়ায়র ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ মার্চ বুধবার রাতব্যাপী মায়ের প্ররোচনায় মুঠোফোনে অশ্লীল গালাগালাজ , মানসিকভাবে নির্যাতন করেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে ফের পরদিন বৃহস্পতিবার (১৭) মার্চ বিকেলে এক কাপড়ে তাহিরপুরের ছড়ারপাড় গ্রামের বাড়ি থেকে নাবালক শিশুসন্তান সহ এক কাপড়ে আমার বোনকে নাবালক চার শিশু সন্তান সহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন ভগ্নিপতি এটিএসআই শফিকুল ইসলাম।
তারেক আজিজ আরো বলেন, বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার পর ভগ্নিপতির মা স্বজনদের সাথে যোগাযোগ না করতে পারে সেজন্য মুঠোফোনটিও কেড়ে নেন। অতীতে এসব নির্যাতনের বিষয়ে স্বজন ও পরিবারের লোকজন জানতে চাইলে পুলিশী ক্ষমতার দাপটে উল্টো মিথ্যা মামলায় হয়রানী হামলা এমনকি কোন কোন আত্বীয় স্বজনকে একাধিকবার অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন কনষ্টেবল হতে এটিএসআই পদে থাকা শফিকুল ইসলাম। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার এতিম মেয়েকে বার বার শারিরীক মানসিক নির্যাতনের পর পুলিশের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ কিংবা আইনি সহায়তা নিতে গেলে উল্টো চার নাবালক শিশু সন্তান সহ ডিভোর্সের (তালাক) হুমকি দিয়ে বেড়ান শফিকুল।

অভিযোগ রয়েছে স্ত্রীকে নির্যাতনের কারনে গত কয়েক বছরে সিলেট মহানগরীতে কমপক্ষে ২০ টি ভাড়া বাসা রদবদল করতে হয়েছে জুয়া ও পরকীয়ায় আসক্ত এটিএসআই শফিকুলকে। শুধু পুলিশী দাপুটেই শেষ কথা নয় পারিবারীব বলে বলবান এটিএসআই শফিকুলের এক সহোদর ভাই একটি হত্যা মামলায় সাজাভোগ করেছেন অপর সহোদর ছোট ভাই আশিক গত কয়েকবছর পুর্বে এক মোটরসাইকেল চালককে হত্যার পর লাশ গুম করে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার পর জেল হাজত করেছেন। এই দাগী দুই ভাইয়ের নামে ভাঙ্গিয়েও তিনি বাড়িতে ছুটিতে গেলে কোন কোন স্বজনদের দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।।,