জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে তা নির্ধারণের দায়িত্ব মূলত নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনে পদ্ধতিগত কোনো পরিবর্তন আনতে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নেবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম পদ্ধতিতে।
রবিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় যুব মহিলা পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন হবে ইভিএমে, প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। নিরক্ষরতার জন্য আমাদের দেশে এখনো প্রার্থীর নামের পাশে প্রতীক ব্যবহার করতে হয়। এমন বাস্তবতায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে।
জিএম কাদের বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংবিধানকে এমনভাবে কাটাকাটি করেছে তাতে গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়। দেশে সাংবিধানিক এক নায়কতন্ত্র চলছে। ফলে সরকারের কোনো ক্ষেত্রেই জবাবদিহিতা নেই বললেই চলে।
জাতীয় যুব মহিলা পার্টির আহ্বায়ক নাজনীন সুলতানার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সৈয়দা জাকিয়া আফরোজ হিয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।