• আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ | মানবিক বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার শিক্ষার্থীরা; সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমিনুল হক | বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো ভারত –রুহুল কবির রিজভী | রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক | সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে মামলার ভয়ে যুবককের আত্নহত্যা! | যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না: আসিফ নজরুল | মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ মারা গেছেন | ফ্যাসিস্টরা নববর্ষকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ | দেশ থেকে অশুভ দূর হয়েছে, যতটুকু আছে তাও চলে যাবে: প্রেস সচিব | ড: ইউনূস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন কীভাবে, প্রশ্ন মান্নার |

কাগজপত্র ছাড়াই পাঠানো যাবে রেমিট্যান্স, মিলবে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা

| নিউজ রুম এডিটর ৭:৪৭ অপরাহ্ণ | মে ২৩, ২০২২ অর্থনীতি, লিড নিউজ

বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে রেমিটারের কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়া ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী রফিকুল হাসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ হাজার অথবা ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদানে রেমিটারের কাগজপত্র বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে রেমিটারের কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়া ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে।

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

আগে ৫ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার বেশি আয় পাঠাতে আয়ের নথিপত্র জমা দিতে হতো। এতে বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠাতে পারতেন না বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা।

নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশ থেকে অবাধে টাকা আনতে কোনো বাধা থাকলো না।

করোনা শুরুর পর রেমিট্যান্সে নগদ ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। কেউ যদি বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১০০ টাকা পাঠায়, তবে দেশে তার প্রতিনিধি সেই টাকার সঙ্গে ২ টাকা বেশি পাবে। অর্থাৎ, ১০০ টাকা এলে পাওয়া যেত ১০২ টাকা। এরপর চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) শুরু থেকে এ প্রণোদনা আরও দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে করা হয় ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ১০২ টাকা ৫০ পয়সা।

কিন্তু করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় বেড়ে যায় হুন্ডির দৌরাত্ম্য। এর ফলে কমতে থাকে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা রেমিট্যান্স। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রবাসীরা দাবি করেন প্রণোদনার পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। তাদের এ দাবি সরকারও আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানা যায়।