• আজ ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী | আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা | নতুন বাংলাদেশে মাফিয়াতন্ত্রের সরকার গড়তে দেওয়া হবে না: নাহিদ ইসলাম  | শুধু ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জুলাই আন্দোলন হয়নি: নাহিদ ইসলাম | কুমিল্লায় ধর্ষণের শিকার নারীকে নিরাপত্তা ও চিকিৎসার নির্দেশ |

কাগজপত্র ছাড়াই পাঠানো যাবে রেমিট্যান্স, মিলবে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা

| নিউজ রুম এডিটর ৭:৪৭ অপরাহ্ণ | মে ২৩, ২০২২ অর্থনীতি, লিড নিউজ

বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে রেমিটারের কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়া ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী রফিকুল হাসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ হাজার অথবা ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদানে রেমিটারের কাগজপত্র বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে রেমিটারের কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়া ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে।

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

আগে ৫ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার বেশি আয় পাঠাতে আয়ের নথিপত্র জমা দিতে হতো। এতে বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠাতে পারতেন না বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা।

নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশ থেকে অবাধে টাকা আনতে কোনো বাধা থাকলো না।

করোনা শুরুর পর রেমিট্যান্সে নগদ ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। কেউ যদি বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১০০ টাকা পাঠায়, তবে দেশে তার প্রতিনিধি সেই টাকার সঙ্গে ২ টাকা বেশি পাবে। অর্থাৎ, ১০০ টাকা এলে পাওয়া যেত ১০২ টাকা। এরপর চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) শুরু থেকে এ প্রণোদনা আরও দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে করা হয় ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ১০২ টাকা ৫০ পয়সা।

কিন্তু করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় বেড়ে যায় হুন্ডির দৌরাত্ম্য। এর ফলে কমতে থাকে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা রেমিট্যান্স। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রবাসীরা দাবি করেন প্রণোদনার পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। তাদের এ দাবি সরকারও আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানা যায়।