• আজ ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে পরিকল্পিতভাবে

| নিউজ রুম এডিটর ৭:০১ পূর্বাহ্ণ | জুন ১৬, ২০২২ জাতীয়, বাংলাদেশ, লিড নিউজ

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আমি ভোটে জয়লাভ করেছি, আমার কাছে সব কেন্দ্রের ফলাফলের কাগজ আছে। অদৃশ্য শক্তির ইশারায় নির্বাচন কমিশন আমার ফল রিফাতকে দিয়ে দিয়েছে-নির্বাচন কমিশন এটা কিভাবে করল? এটা কোনোভাবেই আমি মানতে পারছি না। আমি নির্বাচন কমিশনের এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করব।

সাক্কু বলেন, কারও একটা ফোন আসার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী ৪ কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করে রাখেন, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে আমাকে হারানো হয়েছে। তিনি বলেন এই নির্বাচন কমিশন যে ব্যর্থ হয়েছে এটাই এখন প্রমাণিত, এটা মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন, চাপের মুখে নতি স্বীকার করে ফলাফল পালটে দিয়েছে, এই কমিশনের ওপর নির্ভর করা যায় না, দিনভর ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিলেও অদৃশ্য চাপের মুখে অসহায় হয়ে নির্বাচন কমিশন ফল বদলে দিয়েছে, এটা একটা দুর্বল, মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন, তারা জনগণের সঠিক রায় প্রকাশের সক্ষমতা রাখে না, আমি ৯৮০ ভোটে এগিয়ে ছিলাম, এটা খুঁজে বের করতে হবে মোবাইল ফোনে কার নির্দেশ পেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আমার ফল বদলে দিয়েছেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমার ফল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে হবে, নির্বাচন কমিশনের এমন ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডে কুমিল্লার জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, তারা কুমিল্লাবাসীর কাছে চরম ঘৃণার পাত্রে পরিণত হবে। সাক্কু বলেন, নগরবাসী আমাকে ভোট দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমার ফলাফল জালিয়াতি করেছে। নির্বাচন কমিশন যে একটা দুর্বল এবং মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে তা আমি আগে থেকেই বলে আসছি, আমি বারবার স্থানীয় সংসদ-সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছি নির্বাচন কমিশনের কাছে।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে, তারা কোনোভাবেই সংসদ-সদস্যকে আচরণবিধির আওতায় আনতে পারেনি এবং কোনোভাবেই এমপির প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে পারেনি, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে মানুষ ভোট দিলেও তারা জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করার মতো ক্ষমতা নেই, তাদের কাছে ভোট দিলে ভোট এবং ফল ডাকাতি হয়ে যাবে, তারা জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করতে পারবে না, তাদের ওপর আস্থা রাখার কোনো সুযোগ নেই।