মা-বাবা ও বোনের রক্তাক্ত অবস্থার মধ্যে অলৌকিকভাবে পৃথিবীর আলো দেখা সেই নবজাতকটি ভালো আছে।বর্তমানে শিশুটি নগরীর চরপাড়া লাবীব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শিশুটিকে আরেক মায়ের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে।
শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা.মো.কামরুজ্জামান জানান, শিশুটি ডান হাতের দুই জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হলেও সেটি পুরোপুরি সুস্থ হতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। নিয়মিত প্রসাব পায়খানা করছে, বর্তমানে সুস্থ আছে।
এদিকে শিশুটিকে একনজর দেখার পাশাপাশি অনেকেই খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন লাবীব হাসপাতালের পরিচালক শাহজাহান মিয়া।
তিনি জানান, গত রাতে জেলা প্রশাসক মহোদয় বাচ্চাটি দেখতে আসেন এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়াও আজ (রোববার) সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ডেপুটি সিভিল সার্জনসহ অনেকেই ফোনকল করে বাচ্চার খোঁজ নেন।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার দুপুরে আলট্রাস্নোগ্রাফি করতে রাইমনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী রত্না আক্তার এবং ৬ বছরের মেয়ে সানজিদা আক্তারকে নিয়ে ত্রিশাল পৌর শহরে আসেন। সেখানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে ময়মনসিংহগামী পেঁয়াজ ভর্তি একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী রত্না আক্তার এবং ৬ বছরের মেয়ে সানজিদা আক্তার মারা যান। তখন রত্না আক্তারের পেট ফেটে নবজাতক মেয়েটি ভূমিষ্ঠ হয়।
স্থানীয়রা নবজাতকটিকে উদ্ধার করে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরে বাংলাদেশ কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে সন্ধ্যার সময় নগরীর লাবীব হাসপাতালের পরিচালক মো.শাহজাহান তার তত্ত্বাবধানে এনে শিশুটির পরিচর্যা করছেন।
এদিকে শনিবার রাত ১০ টার দিকে নিহতদের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নবজাতক ছাড়াও নিহত দম্পতির আরো এক ছেলে এবং মেয়ে রয়েছে। পরিবারটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।