‘হাসিওয়ালা’ নামের একটি পোয়েট্রিক্যাল ফিল্মে আবৃত্তি করতে দেখা যাবে হিরো আলমকে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত নাম “হিরো আলম”। নিজের কাজের মাধ্যমে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে হয়েছেন বিতর্কিত। তবে সমালোচনার মুখেও দমে যাননি তিনি। অভিনয়, প্রযোজনা ও গান নিয়ে নিয়মিত কাজ করে চলেছেন। এবার তাকে দেখা যাবে আবৃত্তি করতে।
“হাসিওয়ালা” নামের একটি পোয়েট্রিক্যাল ফিল্মে আবৃত্তি করতে দেখা যাবে হিরো আলমকে। পোয়েট্রিক্যাল ফিল্মটি পরিচালনা করছেন অতিন্দ্র কান্তি অজু।সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে শুটিং করা হয়েছে ফ্লিমটির।
আবৃত্তির পাশাপাশি এতে অভিনয়ও করেছেন হিরো আলম। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ফিল্মে হিরো আলমের লুক প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে গতানুগতিকতার বাইরে কিছুটা ভিন্নরূপে দেখা গেছে তাকে।
জানা গেছে, নিজের জীবন নিয়ে লেখা একটি কবিতা আবৃত্তি করবেন তিনি। এ কবিতার মাধ্যমে তার জীবনের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র উঠে আসবে। এটির আবৃত্তি নির্মাণ করেছেন তরুণ আবৃত্তিকার মাহবুবুর রহমান টুনু। সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে পোস্টে বিষয়টি জানান এই আবৃত্তিকার।
ফেসবুক পোস্টে মাহবুবুর রহমান টুনু জানান, প্রস্তুতি হিসেবে গত দুই মাস ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম জুয়েলের (জুয়েল আদীব) কাছে বাংলা উচ্চারণ এবং আবৃত্তির খুটিনাটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন হিরো আলম।
ফেসবুকে তিনি লিখেন, “হিরো আলম আবৃত্তি করেছেন। সেই আবৃত্তির ওপর নির্মিত হচ্ছে পোয়েট্রিক ফিল্ম; হাসিওয়ালা। কাজটির সঙ্গে আমারও সম্পৃক্ততা আছে খুউব ছোট্ট করে। আলম যে কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন, সেটির আবৃত্তি নির্মাণ করেছিলাম আমি। বাংলা উচ্চারণ এবং আবৃত্তির খুটিনাটি নিয়ে দীর্ঘ দু’মাস প্রশিক্ষণ দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং আবৃত্তি একাডেমির পরিচালক জনাব জুয়েল আদিব স্যার। নির্মাতার তরফ থেকে আমার কাছে প্রস্তাব আসবার পর পুরো কবিতা, কাজের ধরণ, এমনকি পুরো ফিল্মের স্ক্রিপ্ট পড়বার পর আমি সম্মত হই আবৃত্তি নির্মাণে। ভীষণ চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ মনে হয়েছে আমার কাছে, নির্মাতা যেভাবে বলেছেন এবং যেভাবে তিনি অক্লান্ত চেষ্টা করে চলেছেন, সেভাবে নির্মিত হলে কাজটি একটি অন্য মাত্রা পাবে আমার বিশ্বাস। শুভকামনা।”
এদিকে হিরো আলমকে আবৃত্তি চর্চা শেখানোর বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম জুয়েল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, “হিরো আলমের অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর চেষ্টার ফলে আজ সে দেশের ভাইরাল একজন অভিনেতা। তার ইচ্ছাশক্তি দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ। তার মুখে কিছু জড়তা লক্ষ্য করেছি ধীরে ধীরে সে তা কাটিয়ে উঠেছে। প্রায় দেড় মাস হলো সে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার শিখার পেছনে কারণ হলো সে একটি ছবি নিয়ে কাজ করছে। সেখানে তার অতীত জীবনের গল্প নিয়ে কবিতাটি সাজানো হয়েছে। মূলত তাকে নিয়ে যারা হাসাহাসি করতো তাদের উদ্দেশ্য করেই কবিতাটি রচনা করা হয়েছে।”