• আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ | মানবিক বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার শিক্ষার্থীরা; সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমিনুল হক | বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো ভারত –রুহুল কবির রিজভী | রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক | সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে মামলার ভয়ে যুবককের আত্নহত্যা! | যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না: আসিফ নজরুল | মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ মারা গেছেন | ফ্যাসিস্টরা নববর্ষকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ | দেশ থেকে অশুভ দূর হয়েছে, যতটুকু আছে তাও চলে যাবে: প্রেস সচিব | ড: ইউনূস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন কীভাবে, প্রশ্ন মান্নার |

রাজীব গান্ধীর ৬ ঘাতককে মুক্তি দিল ভারতের সুপ্রিমকোর্ট

| নিউজ রুম এডিটর ৭:৫৭ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ১১, ২০২২ আইন ও আদালত, আন্তর্জাতিক

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নলিনী শ্রীহরনসহ ৬ আসামিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আদেশে জানিয়েছেন- তামিলনাড়ুর সরকার এই আসামিদের মুক্তির জন্য রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করেছিল।

শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশ দেন। ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- নলিনী শ্রীহরন, রবিচন্দ্রন, সান্থান, মুরুগান, এজি পেরারিভালান ও রবার্ট পায়াস। তাদের মধ্যে গত ১৮ মে এজি পেরারিভালানকে সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে মুক্তি দেন সুপ্রিম কোর্ট, যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন।

এছাড়া এই ছয় আসামির মধ্যে নলিনী শ্রীহরন এবং রবিচন্দ্রন গত বছর তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনের পর তামিলনাড়ু সাসপেনশন অব সেন্টেন্স রুলস-১৯৮২-এর আওতায় রাজ্য সরকারের অনুমোদনে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্যারোলে মুক্ত রয়েছেন তারা।

ভারতের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বি ভি নাগারথনারের বেঞ্চ আদেশে বলেছেন, মামলার অন্যতম দোষী এজি পেরারিভালানের মতো শীর্ষ আদালতের রায় অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

উল্লেখ্য, ভারতের ষষ্ঠ ও কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গান্ধী। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পর মাত্র ৪০ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হন রাজীব। ১৯৯১ সালে দক্ষিণ ভারতে এক নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন রাজীব গান্ধী। এলটিটির এক নারী গেরিলা এই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই রাজীব মারা যান। এর আগে ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে হত্যার শিকার হন সেই সময়কার ভারতের নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী।