• আজ ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তানোরে কীটনাশক ব্যবসার আড়ালে অবৈধ সার বাণিজ্যে

| নিউজ রুম এডিটর ৩:০৯ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৪, ২০২৩ অপরাধ-দুর্নীতি, বাংলাদেশ

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের তালন্দ বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী কাজলের বিরুদ্ধে কীটনাশক ব্যবসার আড়ালে অবৈধ সার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, সার বিপণন নীতিমালা লঙ্ঘন করে, চোরাপথে রশিদ বিহীন নিম্নমাণের (এমওপি) পটাশ ও ইউরিয়া সার এনে মজুদ ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ক্রয় রশিদ না থাকায় এসব সার আসল-নকল না নিম্নমাণের সেটা বোঝার উপায় নাই। আবার এসব সার কিনে কৃষকেরা প্রতারিত হলেও রশিদ না থাকায় তারা কোনো পদক্ষেপ নিতে বা ক্ষতিপুরুণ চাইতে পারে না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১০ জুলাই সোমবার তানোর পৌর এলাকার তালন্দ বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী কাজল। কয়েক ভুটভুটি পটাশ সার হরিদেবপুর গ্রামে তার বাড়িতে মজুদ করেন। তবে এসব সারের কোনো ক্রয় রশিদ ছিলনা। ফলে সার আসল-নকল না চোরাই তা বোঝার উপায় নাই। প্রশাসন তার বাড়িতে অবিযান দিলে প্রমাণ পাবে। এদিকে গত ১৩ জুলাই বৃহস্প্রতিবার সন্ধ্যায় কাজলের বাড়ি থেকে কয়েক ভুটভুটি সার। পাঁচন্দর ইউপির কোয়েল হাট এলাকায় নিয়ে যাবার সময় বেলপুকুর দিঘীরপাড়ে কৃষকেরা এসব সার আটক করে ক্রয় রশিদ দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে পারেনি। ভুটভুটিতে থাকা ব্যক্তি বলেন, কাজলের কাছে থেকে তারা ১৪০০ টাকা বস্তা দামে এসব সার কিনেছেন, তবে রশিদ দেয়নি। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, কীটনাশক ব্যবসার লাইসেন্স নিয়ে সার ব্যবসার করার কোনো সুযোগ নাই, এটা আইনবিরোধী। অধিকাংশক্ষেত্রে ক্রয় রশিদ বিহীন, এসব নিম্নমানের সার কিনে কৃষকেরা প্রতারিত হলেও রশিদ না থাকায় প্রতিকার মিলছে না।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তানোর পৌর এলাকার তালন্দ বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী মনিরুলের দোকানে সার পেয়ে কোন মেমো দেখাতে না পারার অপরাধে ১ লাখ ২৬ হাজার, একই কারনে টিপুর ১০ হাজার ও গণেশের ১৫ হাজার এবং কলমা ইউপির সার ব্যবসায়ী নজরুলের পাচারে দায়ে এক লাখ টাকা, ধানতৈড় মোড়ের খুচরা সার ব্যবসায়ী জসিমের ট্রাকে করে সার নামানোর দায়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। অথচ কাজল প্রকাশ্যে প্রতিনিয়ত একই অপরাধ করলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন চুপ।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাজল বলেন, মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটের সার ব্যবসায়ী রহমানের কাছে থেকে এসব সার এনেছেন। তিনি বলেন, তানোরে সারের সঙ্কট তাই কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশনা নিয়ে সার এনেছেন। এছাড়াও সেখানে সরকারি দাম থেকেও কম দামে সার কেনা যায়। তিনি বলেন, বেশী দামে সার বিক্রির অভিযোগ সঠিক নয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, তানোর থেকে বাইরে সার না গেলেই হলো, বাইরে থেকে তানোরে আসলে সমস্যা কি বরং এটাতো কৃষকের জন্য ভাল। এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, অনুমোদিত ডিলার বা ডিলারের মাধ্যমে ব্যতিত ট্রাকে করে সার নিয়ে আশার কোনো সুযোগ নাই এটা অবৈধ।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সার ডিলার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাবু বলেন, কীটনাশক ব্যবসায়ীরা যদি এভাবে সার বিক্রি করে তাহলে ব্যাংক ঋণের কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তাদের ডিলারি করার কোনো মানে হয় না।