• আজ ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 দেড় ঘণ্টা পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার, মেট্রোরেলের টিকিট ব্যবস্থা চালু | গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম: হাসনাত | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব | টাকা ছাপিয়ে আবারও ২৫শ কোটি টাকা ঋণ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক | মাগুরার নোমানী ময়দানে সেই শিশুর জানাজা অনুষ্ঠিত | মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন মাগুরার সেই আছিয়া | এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  |

ফারুক চৌধুরী এমপিকে নিয়ে মিনুর বেফাঁস মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড়

| নিউজ রুম এডিটর ৪:৪২ অপরাহ্ণ | জুলাই ২০, ২০২৩ অপরাধ-দুর্নীতি, রাজনীতি

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র ও এমপি মিজানুর রহমান মিনুর বেফাঁস মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ইতমধ্যে মিনুকে নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন, জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। সুত্র জানায়, জঙ্গি সংগঠন (জেএমবি) ও বাঙলা ভাই সৃষ্টি এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে মিনুর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়, যা এখানো চলমান রয়েছে। অথচ সেই বির্তকিত মিনু একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ তিন দশকের রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী সম্পন্ন নেতৃত্ব গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন।

তিনি বলেছেন রাজশাহী মাদরাসা মাঠে ফ্রিডম পার্টির জনসভায় কর্নেল রশিদের পাশে দাঁড়িয়ে অস্ত্র তাক করেছিলেন ফারুক চৌধুরী। তবে তার বক্ত্যর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্য তার কাছে নাই। যদি মিনুর কথা সত্য হয়। তাহলে তো ফারুক চৌধুরী ছিল ফ্রিডম পার্টির দায়িত্বশীল সাংগঠনিক অনেক বড় নেতা। কারণ সেটা না হলে তো কারো পক্ষে দলীয় প্রধানের পাশে অস্ত্র হাতে দাঁড়ানোর সুযোগ নাই। এখন প্রশ্ন হলো ফারুক চৌধুরী ফ্রিডম পার্টির দায়িত্বশীল কোন সাংগঠনিক পদে ছিল সেটার প্রমাণ দিতে হবে।

এটা দিতে ব্যর্থ হলে মিনুকে তার বক্তব্যর জন্য প্রকাশ্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে মনে করেন দলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ।স্থানীয়রা বলছে, মিনুর মুখে আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার মুখের কথার প্রতিধ্বনি শুনতে পাওয়া গেলো !এরা তো একই গাছের শিঁকড়। আবার উল্লাস করার কারনটি বোঝার জন্য, কারা মিনুর কথা নিয়ে সামাজিক মিডিয়াতে উল্লাস করছে, সেটিও লক্ষ্য করলে, সবকিছু জলোবোধ তলোরং হবে !

স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, বিগত ৮০’র দশকে রাজশাহী অঞ্চলে ফ্রিডম পার্টির আর্বিভাব। অথচ ৮০ দশকে ফারুক চৌধুরী সিআইপি মর্যাদা সম্পন্ন ব্যবসায়ী। বরং শিল্পপতি হবার সুবাদে ওই সময়ে মিনুসহ তার মতো অনেক নেতা ফারুক চৌধুরীর কাছে থেকে আর্থিক অনুদান নিয়েছেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা রয়েছে।

জানা গেছে, ফারুক চৌধুরী একমাত্র নেতৃত্ব যাকে দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সকল প্রটোকল ভেঙে একক ক্ষমতা বলে দলে যোগদান করিয়েছেন। করেছেন জেলার সভাপতি সম্পাদক ও প্রতিমন্ত্রী, দিয়েছেন চারবার দলীয় মনোয়ন, হয়েছেন তিনবার সাংসদ। একজন মানুষের প্রতি দলীয় প্রধানের কতটা আস্থা ও বিশ্বাস থাকলেই এমন সম্মানিত করেন সেটার গভীরতা বুঝতে হবে।যারা এটা বোঝে না, তারা রাজনৈতিক অবার্চীন।

জানা গেছে, রাজশাহী-১ ভিআইপি সংসদীয় আসনে একটানা তিনবারের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ, সিআইপি,সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক, শহীদ পরিবারের সন্তান, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনার ভাগ্নে এবং বৃক্ষরোপণে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মহামান্য রাস্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুরুস্কৃত নেতৃত্ব আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তার রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ।অন্যরা রাজনীতি করে যেখানে পৌচ্ছাতে চাই, সেখান থেকে ফারুক চৌধুরীর রাজনীতি শুরু।