• আজ ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজিম হত্যা নিয়ে যা বললেন প্রধান অভিযুক্ত আকতারুজ্জামান শাহিন

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের খুনের ঘটনায় যার নাম সবচেয়ে বেশি আসছে তিনি আখতারুজ্জামান শাহীন। এই আখতারুজ্জামানই কলকাতায় এক লাখ রুপিতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন এক বছর আগে। সঞ্জীবা গার্ডেনের সেই ফ্ল্যাটেই এমপি আনারকে হত্যা করা হয়।

আখতারুজ্জামান বাংলাদেশের ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের বাসিন্দা। তবে আমেরিকার পাসপোর্ট নিয়ে তিনি ভারতে থাকতেন। তার সঙ্গে সংসদ সদস্য আনারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। পরিকল্পিতভাবে ভাড়াটে খুনি দিয়ে এমপিকে খুন করে বাংলাদেশ হয়ে ইতোমধ্যে তিনি আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের একাংশ।

এদিকে এ ঘটনার পর প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন অভিযুক্ত আকতারুজ্জামান শাহিন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে টেলিফোনে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কাছে তিনি দাবি করেন, এমপি আনার খুনের ঘটনায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

আকতারুজ্জামান শাহিন বলেন, আনার হত্যার সময় তিনি বাংলাদেশে ছিলেন। অস্বীকার করেন, ৫ কোটি টাকায় কিলিং মিশন চুক্তির খবরও।

আক্তারুজ্জামান শাহিন বলেন, এই ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়ে। এই ঘটনার সময় আমি ভারতে ছিলাম না। আমার আইনজীবী বলেছে এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা না বলতে। মানুষ দেশে অনেক কথাই বলে। যদি কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে দেখাক।

ফ্লাটের ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যদি ফ্লাট ভাড়া নেই। আমি কি আমার ফ্লাটে এই ধরণের কাজ করবো? আমার পাসপোর্ট রেকর্ড দেখলে দেখা যাবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এখন বলা হচ্ছে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কিভাবে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কোথার থেকে পেলাম আমি এত টাকা। এখন এগুলো মানুষ বললে আমার কি করার আছে। ঘটনা কবে ঘটেছে সেগুলো আমি পত্রিকায় দেখেছি। সে সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম।

আক্তারুজ্জামান শাহিন বলেন, এছাড়া আমার ড্রাইভার তো কিছু করেনি। আমার গাড়ি, আমার সব কিছু নিয়ে চলে গেছে। এটা কোন ধরণের বিচার। আমি যদি অন্যায় করে থাকি তাহলে আমাকে ধরুক। আমি তো এই দেশে বিচার পাবো না। আমি আমেরিকার নাগরিক, এখানে চলে এসেছি। কি করবো।

উল্লেখ্য, গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এরপর তিন দিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। ভারতে গিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা ও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন।

মূলত ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। পরে ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ করেন গোপাল বিশ্বাস।