কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর যেসব সড়ক অবরোধ করেছিলেন আন্দোলনকারীরা, সেসব স্থান তারা ছেড়ে দিয়েছেন। আজ বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টার পর থেকে সড়কে অবস্থান নিতে শুরু করেন তারা। সারাদিন অবরোধের পর বিকেল ৬টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন। মোটামুটি আট ঘণ্টা পর যান চলাচল করতে শুরু করেছে রাজধানীতে।
আজ রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেটসহ অধিকাংশ সড়কে আন্দোলনকারীরা অবরোধ করেন।
শিক্ষার্থীরা মাইকে ঘোষণা দেন, আমাদের যৌক্তিক দাবির জন্য আমরা সড়ক অবরোধ করেছি। জরুরি সেবা ছাড়া কোনো যানবাহন আমরা চলতে দেব না। আমরা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাব না। কাউকে ঘটাতেও দেব না। এভাবে তারা কোটা প্রথাবিরোধী নানা স্লোগান ধরেন। দিনভর নানা স্লোগান ও গণসংগীতের সুরে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক আটকে স্লোগান, গণসংগীত আর খেলাধুলায় মেতেছিলেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শুধু যে মূল সড়ক আটকে রাখা হয়েছে তা নয়, এর সঙ্গে সংযুক্ত ছোট ছোট সড়কের প্রবেশপথগুলোও বন্ধ করে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কে যান চলাচল করতে পারছে না। আর আটকে রাখা এসব ফাঁকা সড়কের মধ্যে কোথাও মোটরসাইকেল বা প্রাইভেটকার চলতে দেখলেই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আন্দোলনকারীরা।
যাত্রীরা কোথায় এবং কেন যাচ্ছে, তা জানতে চাচ্ছেন কোটাবিরোধীরা। জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন দেখানো ছাড়া সব ধরনের যানবাহনকে তারা আটকে দিচ্ছেন। মোট কথা, স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো রাজধানীর নানান সড়ক। এতে, ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এই যখন অবস্থা, তখন কোথাও কোথাও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যানবাহনের যাত্রীদের বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেছে।