• আজ ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক গাজা

যেভাবে ইসরাইলি গণহত্যার বর্ণনা দিল গাজার এতিম শিশুরা

| Peoples News ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ | নভেম্বর ২৬, ২০২৫ আন্তর্জাতিক, লিড নিউজ

 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুই বছরের বেশি সময় বর্বর গণহত্যা চালিয়ে প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইল। এতে সেখানকার অনেক শিশু তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে। আবার অনেক বাবা-মা হারিয়েছে তাদের সন্তানকে।

সেখানকার অনেক শিশু এত ছোট বয়সে এতিম হয়ে গেছে যে, তারা এখনো বোঝেনি জীবন থেকে কি হারিয়ে ফেলেছে।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা সোমবার (২৪ নভেম্বর) একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, গাজার শিশুদের সঙ্গে কথা বলছেন এক ব্যক্তি। তাদের জিজ্ঞেস করছে তাদের বাবা-মা কেউ মারা গেছে কিনা।

এরমধ্যে এক ছেলে শিশুকে বলতে শোনা যায়, আমার বাবা-মা দুজন মারা গেছে।

এক মেয়ে সহপাঠীকে দেখিয়ে শিশুটি বলে, তার বাবা মারা গেছে।

ওই ব্যক্তি তখন জিজ্ঞেস করেন, সত্যি? তোমার বাবা মারা গেছে? আরেক শিশুকে দেখিয়ে তিনি বলেন, ওর বাবাও মারা গেছে?

তখন পাশের শিশুটি বলে, না ওর মা মারা গেছে। মেয়েটি তার বাবার মৃত্যুর বর্ণনা দিয়ে বলে, নাবলুসে আমার বাবা মারা গেছে। ছেলে শিশুটি বলে আমার বাবা মারা গেছে মেরাজে। কিভাবে মারা গেছে জিজ্ঞেস করার পর ছেলেটি বলে, আমার বাবা আটার বস্তা আনতে গিয়েছিল। যেন আমরা খেতে পারি।

এরপর তিনি শহীদ হয়ে ফিরে এসেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শিশুটি হ্যা সূচক জবাব দেয়। তোমার বাবার জন্য কি দুঃখ লাগে? মাথা নেড়ে হ্যাঁ উত্তর দেয় সে।

 

মেয়েটি তখন বলে, আমার বাবাকে ইসরাইলি সেনারা তিনটি গুলি করেছে। ছেলেটি তার হার্টের দিকে ইশারা করে দেখায়, আমার বাবাকে এখানে গুলি করেছে।

প্রশ্নকারী তখন জিজ্ঞেস করেন তুমি কোন পরিবারের সন্তান। শিশুটি বলে ‘ওদা’। তোমরা কি এখন জেইতুনে থাকো এ প্রশ্নের জবাবে শিশুটি বলে ‘হ্যাঁ’।

এরপর মেয়ে শিশুটিকে তার বাবার নাম জিজ্ঞেস করলে সে জানায় তার বাবার নাম ছিল ফাদি। কীভাবে মারা গেছে প্রশ্নের উত্তরে সে বলে, নাবলুসে, লাকড়ি কুড়াতে গিয়েছিলেন। যেন সেগুলো বিক্রি করে আমাদের জন্য আটা কিনে আনতে পারে। কিন্তু তিনি মৃত অবস্থায় ফিরে এসেছিলেন।

সূত্র: আলজাজিরার