• আজ ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা | একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী |

৬ ঘন্টা যাবত চলছে ইবির চারুকলার শিক্ষার্থীদের অনশন: মেডিকেলে দুই

| নিউজ রুম এডিটর ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ | নভেম্বর ৫, ২০২৪ জাতীয়

 

মানিক হোসেন, ইবি: বরাদ্দকৃত শ্রেণীকক্ষ বুঝে পাওয়ার দাবিতে আমরণ অনশনে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চারুকলা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরবর্তীতে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নেওয়া হয়। সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন। সাড়ে পাঁচ ঘন্টা অনশনে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই ছাত্রী। এর আগে বেলা ১১টা থেকে তারা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করে।

তাদের দাবি, রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ ও তাদের জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষ ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। এসময় তাদের বরাদ্দকৃত শ্রেণীকক্ষ বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ পেয়েও ব্যবহার করতে পারছি না। কক্ষগুলো ফোকলোর স্টাডিজ ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ দখল করে আছে। এদিকে আমাদের ক্লাস পরীক্ষা পরিচালনা করার কোনো জায়গা নেই। আমাদের নতুন চেয়ারম্যানকে বসতে দেওয়ারও জায়গা পাইনি। আমরা একাধিকবার প্রসাশনের কাছে গিয়েও কোনো সমাধান পাইনি। আমাদেরকে বিভিন্নভাবে আশ্বস্ত করা হয়েছে, কিন্তু  কোনো ফল পাইনি। তাই আমরা বাধ্য ও নিরুপায় হয়ে আমরণ অনশনে বসেছি। আমাদের দাবির বিষয়ে প্রশাসন লিখিত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাবো।

আহত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মোঃ ওয়াহিদুল হাসান বলেন, আমাদের এখানে দুইজন ছাত্রী এসেছে। আসার পরপরই আমি দেখেছি। বিষয়টি বেশি গুরুতর নয়। আমাদের এখানেই চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।

এদিকে উপাচার্য ক্যাম্পাসের বাইরে থাকায় রাত নয়টার দিকে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামানের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আগামীকাল এসে ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে প্রথম প্রায়োরিটি হিসেবে এ বিষয়টির সমাধান করা হবে। আমার অনুরোধ, আপনারা অনশন ভেঙে যার যার অবস্থানে ফিরে যান। কিন্তু উপাচার্যের অনুরোধ অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে আন্দোলন চলমান রেখেছে অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা।