বরগুনা প্রতিনিধি :বরগুনার তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হকের বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। একই উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সোহাগ খান এ অভিযোগ করেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সোহাগ খান এ অভিযোগ জানান।
সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে সোহাগ খান বলেন, আমার বাবা হারুন খান তালতলীর কবিরাজ পাড়া বাজারে খাবার হোটেলের ব্যবসা করেন। তালতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল হক তার শশুর মাসুদ প্যাদার মাধ্যমে আমার বাবার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এ টাকা দিতে অস্বীকার জানালে ১৭ নভেম্বর শহিদুল হক, তার ছেলে শাহরিয়ার নাঈম, ভাই জাহিদুল হক সোহাগ, ছোট্ট, মাসুদ প্যাদা, আলমঙ্গীর মীরা সহ আরও ২০ থেকে ২৫ জন মিলে আমার বাবার খাবারের দোকানে হামলা চালিয়ে বেধরক মারধর করেন। এ ছাড়াও দোকানে থাকা বিভিন্ন মালামাল তারা লুটপাট করে নিয়া যায়।
সোহাগ আরও বলেন, আমার বাবাকে মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে আমার মা বাধা দিলে তাকেও মারধর করা হয়। এ ছাড়া খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আমাকে ও আমার সাথে থাকা ফারুক মোল্লা ও আব্দুল হক নামের আরও দুজনকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। পরে এ ঘটনায় আহত অবস্থায় আমার মা ও বাবাকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জান তিনি।
অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হক বলেন, আমার শাশুড়ী কবিরজ পাড়ার পুরুষ ওয়ার্ডের একজন ইউপি সদস্য। ১৭ নভেম্বর সোহাগ, হারুন মোল্লা এবং ফারুক মোল্লাসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার শ্বশুর ও শাশুড়ীকে বাজারের মধ্যে সকলের সামনে রড দিয়ে হামলা চালায়। পরে খবর পেয়ে তালতলী থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে জানাই। এ ছাড়া আমি ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে উপস্থিত জনতা তাদেরকে প্রতিরোধ করতে ব্যবস্থা নিতে চইলে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা তাদেরকে কিছুই করিনি।
শহিদুল হক আরও বলেন, তারা যে হামলা করেছেন তা ধামাচাপা দিতেই উল্টো আমাদের ওপর চাঁদা দাবি ও হামলার অভিযোগ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও আমাকে হেয় করতে তালতলীর একটা গ্রুপ সক্রিয় হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমাদের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ জানায়নি।