• আজ ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 মধ্যরাতে চরমোনাই পিরের দরবারে এনসিপির নেতারা | বিএনপিকে এত সহজে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল | এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা | একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু |

ঢাবিতে হাসিনার প্রতিকৃতিতে গণজুতা নিক্ষেপ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে গণজুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ঘৃণাস্তম্ভে হাসিনার পুনর্অঙ্কিত প্রতিকৃতিতে এ জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে শিশু, বৃদ্ধ, নারী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় তারা ‘জুতা মারো তালে তালে, খুনি হাসিনার দুই গালে’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত, রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ  বলেন, “জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি যারা মুছে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। আজ আমরা দেখেছি, শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের যে ক্ষোভ সেটা আবার নতুন করে দেশবাসী দেখল। খুনী হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বাকশালী মুজিবের যে ঘৃণাস্তম্ভ ছিল সেটাও ফিরিয়ে আনতে হবে।”

রিকশাওয়ালা শহিদুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে এখন আর কোন স্বৈরাচার নাই। এখন কত আনন্দে আছি। শেখ হাসিনার নামে যত মামলা আছে, তার প্রত্যেকটিতে হাসিনার ফাঁসি হবে। এজন্য ভারত হাসিনাকে ফিরিয়ে দিচ্ছে না।”

গত ২৮ ডিসেম্বর এনএসআই এর অনুরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অনুমতিতে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম স্মৃতি ঘৃণাস্তম্ভটি থেকে শেখ হাসিনার গ্রাফিতির কিয়দংশ মুছে ফেলে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা। পরে শিক্ষার্থীদের চাপের রবিবার রাতে শেখ হাসিনার এ প্রতিকৃতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে পুনরায় অঙ্কন করা হয়।