যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের এক সপ্তাহ পর তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এবার মুখ খুলেছেন ট্রাম্পও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এই দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপ হয়। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেব্রুয়ারিতে তার সঙ্গে বৈঠকের জন্য হোয়াইট হাউসে যেতে পারেন।
স্থানীয় সময় সোমবার ফ্লোরিডা থেকে জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুসে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন,
আজ (সোমবার) সকালে তার (মোদি) সাথে আমার অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। সম্ভবত আগামী মাসে, ফেব্রুয়ারিতে তিনি হোয়াইট হাউসে আসতে যাচ্ছেন। ভারতের সাথে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনায় সবকিছু উঠে এসেছে (মোদির সাথে ফোনালাপে)।’
এর আগে, নয়াদিল্লি ওয়াশিংটনের সঙ্গে ‘পারস্পরিকভাবে লাভজনক এবং বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান মোদি।
পরে এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন,
আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে কথা বলেআনন্দিত। তার ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য তাকে অভিনন্দন জানাই। আমরা একটি পারস্পরিক লাভজনক এবং বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্ব শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য একসঙ্গে কাজ করব।
এদিকে সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শীর্ষ সম্মেলনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্যারিস ভ্রমণ করলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে মোদি এবং ট্রাম্পের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমনও জল্পনা রয়েছে, ট্রাম্প যদি এআই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দেন, তাহলে তার সঙ্গে বৈঠকের জন্য মোদি ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটন সফর করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র ইকোনমিক টাইমসকে জানিয়েছে, ট্রাম্প-মোদির বৈঠকের কোনো তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে অবৈধ অভিবাসী এবং শুল্ক নিয়ে সম্ভাব্য উত্তেজনার পটভূমিতে সব ধরনের বিকল্প বিবেচনা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আরও কয়েকটি বৈঠকের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানা গেছে।