

এ পদযাত্রা মানবতার পক্ষে, গণহত্যার বিরুদ্ধচারণ। হাতে নির্যাতিত নিপীড়িত ফিলিস্তিনের পতাকা, কারও হাতে প্রতিবাদী ফেস্টুন, আবার কেউ কপালে সেঁটেছেন গাজা-রাফাবাসীর দুঃখ-গাথা। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেন এখন এক টুকরো ফিলিস্তিন।
মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সী মানুষ ছোট-বড় মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে। এ কর্মসূচিতে এক হয়েছে সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও নানান ধর্ম-বর্ণের মানুষ। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকেই জনস্রোত ছুটে চলছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে।
বাংলামোটর, কাকরাইল পুরান ঢাকা, গুলিস্তানের জিরোপয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এক যোগে শুরু হয় এই মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি। একে একে রাজধানীর সব পথ মিলছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্টের আয়োজনে মার্চ ফর গাজায় ঘোষণা পত্র পাঠ করা হবে বিশ্ববাসীকে জানান দেয়ার জন্য৷ এছাড়া জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেকের নেতৃত্ব নির্যাতিত ফিলিস্তিনের জন্য করা হবে মোনাজাত।
মার্চ ফর গাজা কর্মসূচির দিনে ঢাকার সড়কগুলোর চিত্র। ছবি: সময় সংবাদ
আয়োজনে অংশ নিয়ে সাধারণ মানুষ ইসরাইলের বর্বরতা রুখে দিতে বিশ্ব মুসলিমকে এক হওয়ার আহবান জানাচ্ছে।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইতিহাস সৃষ্টি করে করে শুধু ফিলিস্তিনের জন্য এক মঞ্চে এক হচ্ছেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া শিল্পী, কবি, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ। দলমত নির্বিশেষে এক কাতারে সবাই যোগ দিয়ে ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধে সাহসী উচ্চারণ করছেন।
একই সঙ্গে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুসহ এর পেছনের কুশিলবদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানান সমাবেশে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
দুপুর ৩ টার পরে মার্চ ফর ঢাকার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মঞ্চ থেকে।