

শেফালী আক্তার রাখি, মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি-
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি সরকারি রেকডীর্য় খাল প্রভাবশালীদের দখলে অস্তিত্ব হারিয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে বছরের ৯ মাস জলাবদ্ধতায় পড়েছে ৩শ’ কৃষক পরিবার। ফসলী জমিতে চাষাবাদ দিতে পারছে না। স্থানীয়দের দাবি রেকডীর্য় খালটি অবমুক্তসহ ব্যক্তিস্বার্থে আটকে রাখা কালভার্টগুলো সচল করার।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের উত্তর সুতালড়ী গ্রামের ফরাজী পাড়া সরকারি রেকডীর্য় খালটি অস্তিত্ব হারিয়ে বিলীন হয়ে জমির সাথে মিশে গিয়ে বেদখল হয়েছে। কতিপয় ব্যক্তির মৎস্য ঘের করার স্বার্থে এ খালটি এখন আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। ১০ বছর পূর্বেও যেখানে পানি চলাচল সচল ছিলো, খালের মুখে পাকা মিনি স্লুইজ গেটের অস্তিত্ব এখন নেই। বেদখল করে রেখেছে একটি মহল। ৩নং ওয়ার্ড উত্তর সুতালড়ী গোটা গ্রামটিতে ৩শ’ কৃষক পরিবারের বসবাস। আড়াইশ’ বিঘা জমির ফসলী মাঠ বছরের ৯ মাসই থাকছে জলাবদ্ধতায়। যে কারনে স্থানীয় জমির মালিক কৃষকেরা ফসল ফলাতে পারছেন না। ফসলী মাঠ পানিতে জমে থাকার কারনে গরু ছাগল মাঠে নামাতে পারছে না। গৃহপালিত পশুর গো খাদ্য ক্রয় করতে হচ্ছে অন্যস্থান থেকে। ২০২৩ সালে সরকারিভাবে কয়েক লাখ টাকা বরাদ্দে অপরিকল্পিতভাবে ৪টি কালভার্ড নিমার্ণ করা হলেও তা আসছে কোন কাজে। ২ টি কালভার্ড থেকে মাঠের পানি কোনমতে নামলেও বাকি কালভার্ড ২টির মুখ বন্ধ করে রেখেছে একটি মহল। জলাবদ্ধতার কারনে পানির চাপে অনেকের বাড়িঘর ভেঙ্গে যাচ্ছে এখন।
স্থানীয় কৃষক জুয়েল মোল্লা, মোজাম্মেল মোল্লা, মোতালেব শেখ, খলিলুর রহমান, মাহবুব মোল্লা, শফিকুল মোল্লাসহ একাধিক ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, এমনিতেই ৯ মাস মাঠের পানি নামাতে পারিনা। গত ২ দিনের পানির চাপে অনেকের বাড়িতে চুলায় পানি উঠে রান্না খাওয়া বন্ধ হয়ে পড়েছে। যেখানে পানি নামানোর কালভার্ড দরকার সেখানে কালভার্ড হয়নি। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বাড়ির নিকটে কালভার্ড নিমার্ণ করে তা আবার বন্ধ করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। পরিবার পরিজন নিয়ে পানিতে এখন ডুবে আছি। এ ভোগান্তির শেষ কোথায়?। সরকারি রেকডীর্য় খালটি অবমুক্ত করে দিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার হাবিবুল্লাহ বলেন, শুধু বারইখালী উত্তর সুতালড়ী গ্রামের খাল নয় এ উপজেলার যেসব রেকডীর্য় খাল বেদখল হয়ে আছে। অচিরেই সেগুলো উদ্ধার করে জনস্বার্থে অবমুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে উপজেলা মাসিক সম্বনয় সভায় এ বিষয়টি উত্তোলন করা হয়েছে।