

নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও বিতর্কিত আমলাদের অপসারণ না করায় জুলাই ঐক্যের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য চত্বর থেকে সচিবালয়ের উদ্দেশে মিছিলের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে, সোমবার (২ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সংগঠনগুলোর জোট জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনের অন্যতম সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২০ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে সচিবালয়সহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে থাকা ৪৪ জন স্বৈরাচারের দোসর আমলাদের তালিকা প্রকাশ করে জুলাই ঐক্য। সংবাদ সম্মেলন থেকে ৩১ মে পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা দেখছি, সরকার এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। গত কয়েকদিন যাবৎ আমরা লক্ষ্য করছি সচিবালয়ে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংস্কারের উদ্দেশ্যে করা আইনের সংশোধনের বিরুদ্ধে মাঠে আন্দোলন করছে। যা জুলাই স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এতে আরও বলা হয়, চব্বিশের বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সচিবালয় অচল করে ‘সিভিল ক্যু’ করার যে পরিকল্পনা তারা নিয়েছে, তার পেছনে রয়েছে ভারতীয় এজেন্ডা। তাই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় ছাত্র-জনতাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করবে জুলাই ঐক্য।
শেখ হাসিনাকে ‘ভারতীয় প্রক্সি’ দাবি করে তার ঘনিষ্ঠ আমলাদের সচিবালয় থেকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবিতে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচিতে দেশবাসীকে অংশ নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।