

জেলা প্রতিনিধি, নাটোর : নাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রওশন আলম প্রামানিক (৬০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত রওশন আলম উপজেলার দিঘইর গ্রামের মৃত জুরান প্রামাণিকের ছেলে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের দিঘইর দেশ পাড়া গ্রামে জোনাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও উপজেলা সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।
এতে দিঘইর গ্রামে করম আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৫), মৃত জুরান প্রামানিকের ছেলে রওশন আলী (৬৫), হাসেম আলী (৪৫), জিয়ারুল ইসলাম (৫০), আফসার আলী ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৭) মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে বজলুর রহমান (৫০) ও সাদ প্রামনিক (৪৭) আহত হন। পরে স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রওশন আলম মারা যান।
সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার বজলুর রহমান নামের একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, জোনাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছেলে সোহেল রানার সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এর সুত্র ধরে দিঘইর দেশ পাড়া বটতলা গ্রামে চায়ের দোকানের ভিতরে সোহেল রানাসহ ২০ থেকে ২৫ জন দেশীয় অস্ত্র হামলা করে। এতে আমার পক্ষের চারজন আহত হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী এসে আমাদের উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে আমার চাচা মারা গেছেন।
সোহেল রানা বলেন, আরিফুল ইসলাম ও তার লোকজন এলাকার জনগনের বিভিন্ন রকম হেনস্তা করে আসছিল। সেদিন রাতে তারাই আমার লোকজনের উপর বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে আমার তিনজন লোক আহত হয়। আমার লোকজন নিজেদের আত্তরক্ষার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষেই মামলা হয়েছে, একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে