

মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ফাইল ছবি
নিজের প্রাণ বিলিয়ে ২০ জন শিক্ষার্থীর প্রাণ বাঁচানো মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরীর জন্য কাঁদছে পুরো দেশ। মৃত্যুর পর তার পারিবারিক পরিচয় সামনে উঠে এসেছে। তিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাতিজি।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আপন খালাতো ভাই মহিদুর রহমানের মেয়ে মাহরিন চৌধুরী। তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি চৌধুরী পাড়ায়। তবে মাহরিন চৌধুরী কখনোই নিজের পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করতেন না।
মাহরিনের স্বামী মনসুর হেলালের সঙ্গে কথা বলে পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মনসুর হেলাল বলেন, ভোরে ঢাকা থেকে মরদেহ নিয়ে রওনা হয়ে দুপুর ৩টায় জলঢাকার বাড়িতে পৌঁছান। গ্রামের মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়ে। বগুলাগাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
মাহরিন চৌধুরী নীরবে-নিভৃতে ছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পাশে। তিনি হাসপাতালে খাবার নিয়ে ছুটে যেতেন। কিন্তু কখনো প্রচারের আলোতে আসতেন না।
মাহরিনের চাচা ডিডু চৌধুরী বলেন, এমন মানুষ আর আসবে না। মাহরিন চৌধুরী ঢাকায় থাকলেও বগুলাগাড়ির মানুষের প্রতি তার অনেক ভালোবাসা ছিল। গরিব দুঃখী মানুষকে সে প্রচুর সাহায্য করতো। পুরো জলঢাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩১ জন মারা গেছে। আর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাহীন আছে ১৬৫ জন।