

ইবি প্রতিনিধি: উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের গায়েবানা জানাজা পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সাধারণ এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশ্রাফ উদ্দিন খানের ইমামতিতে ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন ড. আ.ব.ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি নাছির উদ্দিন মিঝি, আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান সহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শাখা ছাত্রদল, ছাত্র শিবিরের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানাজায় অংশ নেয়।
জানাজায় উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকাল মাইলস্টোন স্কুলে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় সারা দেশ শোকে বিহ্বল। কোনো ঘটনার কারণ খোঁজার আগে আমাদের এতটুকু দায়িত্ব তাদের জন্য দোয়া করা। সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে মর্মাহত মন আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। আমাদেরকে ঐক্য বিনষ্টকারী যেকোনো মন্তব্য বা পোস্ট করা থেকে বিরত থেকে সবার আগে জাতিকে প্রাধান্য দিতে হবে। এসময় জানাজায় উপস্থিত সকলে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
এদিকে এ ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোকের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক পালিত হয়েছে। শোক পালনের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা কালো ব্যাচ ধারণ করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভবনের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বাদ যোহর নিহতদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান , ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দোয়ায় অংশ নেন। দোয়া পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম আশরাফ উদ্দীন খান।
উল্লেখ্য, গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ১৬৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।