

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর দুইটার কিছু পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের সামনে আসেন শিক্ষার্থীরা। সচিবালয়ে প্রবেশের এক নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
ঘটনাস্থল থেকে সময় সংবাদের প্রতিবেক জানিয়েছেন, সচিবালয়ের মূল গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গেটের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমানবাহিনীর ফাইটার জেট বিধ্বস্তের ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ এ দাঁড়িয়েছে। ওই ঘটনায় আহত হন দেড় শতাধিক। তাদের প্রায় ৭০ জন এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই অবস্থার মধ্যে আজ মঙ্গলবার চলমান এইচএসসি ও সমমানের কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। সরকারের পক্ষ থেকে রাতে জানানো হয়, মঙ্গলবারের পরীক্ষা স্থগিত।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনেক সমালোচনার পর পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত আসে গভীর রাতে। এই সিদ্ধান্ত আগে কেন নেয়া হলো না- এমন প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা। তাদের দাবি, গভীর রাতে এই সিদ্ধান্ত আসায় অনেক শিক্ষার্থী বিভ্রান্ত হয়েছে। তারা এই তথ্য জানতেই পারেনি। ফলে অনেকে আজ পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে গেছে!
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তার পদত্যাগ দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা যে ছয়টি দাবির কথা জানিয়েছেন সেগুলোও তুলে ধরছেন তারা।
এর আগে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে গোলচত্বরে সকাল ১০টা থেকে জমায়েত হন শত শত শিক্ষার্থী। মুহূর্তেই মিছিল আর প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে চারপাশ। একদিন আগে তাদের কলেজ ক্যাম্পসে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানি ও আহতের ঘটনায় শোকাহত শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি জানান তারা। এর মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শনে যান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। সেখানে তারা শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন।
বিচার চাই না, সন্তানের লাশ চাই’, ‘সঠিক লাশের হিসাব চাই’—এমন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীরা গোলচত্বরে সড়কের ওপর বসে পড়েন।
নিহতদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ, আহতদের নির্ভুল তালিকা, শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা, ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ ছয় দফা দাবি জানান তারা।