
মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু ঢাকা।।রাজধানীর বিমানবন্দর থানা এলাকা একসময় জাল টাকা,চোরাকারবারি, ছিনতাইকারী,মাদককারবারির স্বর্গ রাজ্য হিসাবে পরিচিত ছিল। গত কয়েকদিন যাবৎ বিমানবন্দর থানার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ঘুরে ফিরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে মনে হলো আগের চিরচেনা সেই রুপ আর নেই। এক সময় পার্কিং লট, টার্মিনাল ভবনের পাশে, কাস্টম হাউজের সামনে পিছনে,ক্যান্টিন এলাকা জুড়ে প্রকাশ্যে অনেক গাড়ি চালক ও বহিরাগতদের গাঁজা ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য সেবন করতে দেখাযেত। অজ্ঞাত কারনে সবকিছু যেন পরিবর্তন হয়ে গেছে। বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্ম গুলোতে হাত বাড়ালেই পাওয়া যেত গাজা। প্ল্যাটফর্মের যত্রতত্র শুয়ে থাকতে দেখা যেত ভবঘুরে ও ছিনতাইকারীরা। বিভিন্ন ঝোপঝাড়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকত ছিনতাইকারীরা। রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারের আশেপাশে দেখা যেত টিকেট কালো বাজারিদের আনাগোনা। সিভিলেভিয়েশন স্টাফ কোয়াটারের আশেপাশে গাঁজার গন্ধে এক সময় নাকে রুমাল চেপে হাঁটতে হতো। বর্তমানে সেখানে পুলিশি টহল দেখা যায়। ভিন্নতার ভিতরে লক্ষ্য করা যায় ফুটপাত গুলো হকারদের দখলে এর কোন বেত্রয় ঘটেনি বর্তমানেও। বলাকা ভবন সহ থার্ড টার্মিনাল এলাকায় সন্ধ্যার পরপরই হিজড়া ও ভাসমান যৌনকর্মিদের ডাক পাওয়া যেত (কাজকরবা)। কালের স্রোতে তারাও হারিয়ে গেছে।এক কথায় বলা যায় বিমানবন্দর থানার আওতাধীন এলাকায় আইন শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটেছে।
এ বিষয় গুলো নিয়ে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাসলিমার সামনে হাজির হলে তিনি বলেন আমি আসার পর থেকে এই বিষয়গুলো আমার নজরে আসলে আমি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে থানার অন্য সহকর্মীদের সহায়তা নিয়ে সাধ্যমত চেষ্টা করেছি প্রতিহত করার জন্য। কতটুকু সফলতা পেয়েছি তা আপনারা বিচার করবেন






















