• আজ ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 গাজার চারপাশে এবার ‘কিল জোন’ বানাচ্ছে ইসরাইল! | ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ | সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি | দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে তিন বিভাগে | সত্য সংবাদ প্রকাশে বিদেশি গণমাধ্যমের মিথ্যার ওপর চুনকালি পড়বে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা | শরীয়তপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ | জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা | ভারতের সম্পর্ক কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়: মোদি | বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন | শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোসহ মোদির সঙ্গে যেসব বিষয়ে কথা হলো ইউনূসের |

সুস্থ হয়েও কেন দেশে ফিরছেন না নায়ক ফারুক?

| নিউজ রুম এডিটর ৬:০৭ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ৮, ২০২৩ বিনোদন

বরেণ্য অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। গত দুইবছর ধরে তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। কিন্তু দেশে ফেরা নিয়ে এখনও সংশয়ে আছেন। সুস্থ হয়েও কেন দেশে ফিরছেন না, এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে তার স্ত্রী ফারহানা পাঠান জানান।

ফারহানা পাঠান বলেন, আপনাদের ফারুক ভাই এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। শারীরিক কোনো জটিলতা নেই। দেশবাসীর দোয়া ছিল বলেই আমরা এখন তার হাসিমুখ দেখতে পাচ্ছি।

দেশে ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, দেশের মাটিতে ফিরতে তো সবারই মন চায়। চাইলেই কী ফেরা সম্ভব! সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে প্রায় দুই বছর চিকিৎসা নিচ্ছি। ওই হাসপাতালের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। অনেক টাকা বিল হয়েছে। সম্পত্তি বিক্রি ও ব্যাংকের টাকা দিয়ে কিছু বিল দিয়েছি। এখন চেষ্টা করছি বাকি বিল পরিশোধের। সব বিল পরিশোধ করলেই কেবল হাসপাতাল থেকে ছুটি মিলবে।

কবে নাগাদ দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘দেশে আসার জন্য ফারুক উদগ্রীব। জমে আছে সংসদীয় এলাকার অনেক কাজকর্ম। দেশে ফিরে কাজগুলো সারবেন বলেছেন। আগামী মার্চের মাঝামাঝি দেশে আসার ইচ্ছা রয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে বিল পরিশোধের ওপর। দেখা যাক কী হয়।

এদিকে হাসপাতালে ইবাদত-বন্দেগি করেই সময় কাটছে এই নায়কের। ২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছিল পুরোনো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতাও। চার মাস ছিলেন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)। সেমি কোমায় কেটেছে আরও চার মাস। কয়েক মাস তার শারীরিক অবস্থার কখনও উন্নতি, আবার কখনও অবনতি হয়েছে। ছিল নানা শঙ্কাও। তবে কখনও হাল ছাড়েননি তার পরিবারের সদস্যরা, চালিয়েছেন চিকিৎসা।