• আজ ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী | আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা |

সুস্থ হয়েও কেন দেশে ফিরছেন না নায়ক ফারুক?

| নিউজ রুম এডিটর ৬:০৭ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ৮, ২০২৩ বিনোদন

বরেণ্য অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। গত দুইবছর ধরে তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। কিন্তু দেশে ফেরা নিয়ে এখনও সংশয়ে আছেন। সুস্থ হয়েও কেন দেশে ফিরছেন না, এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে তার স্ত্রী ফারহানা পাঠান জানান।

ফারহানা পাঠান বলেন, আপনাদের ফারুক ভাই এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। শারীরিক কোনো জটিলতা নেই। দেশবাসীর দোয়া ছিল বলেই আমরা এখন তার হাসিমুখ দেখতে পাচ্ছি।

দেশে ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, দেশের মাটিতে ফিরতে তো সবারই মন চায়। চাইলেই কী ফেরা সম্ভব! সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে প্রায় দুই বছর চিকিৎসা নিচ্ছি। ওই হাসপাতালের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। অনেক টাকা বিল হয়েছে। সম্পত্তি বিক্রি ও ব্যাংকের টাকা দিয়ে কিছু বিল দিয়েছি। এখন চেষ্টা করছি বাকি বিল পরিশোধের। সব বিল পরিশোধ করলেই কেবল হাসপাতাল থেকে ছুটি মিলবে।

কবে নাগাদ দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘দেশে আসার জন্য ফারুক উদগ্রীব। জমে আছে সংসদীয় এলাকার অনেক কাজকর্ম। দেশে ফিরে কাজগুলো সারবেন বলেছেন। আগামী মার্চের মাঝামাঝি দেশে আসার ইচ্ছা রয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে বিল পরিশোধের ওপর। দেখা যাক কী হয়।

এদিকে হাসপাতালে ইবাদত-বন্দেগি করেই সময় কাটছে এই নায়কের। ২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছিল পুরোনো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতাও। চার মাস ছিলেন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)। সেমি কোমায় কেটেছে আরও চার মাস। কয়েক মাস তার শারীরিক অবস্থার কখনও উন্নতি, আবার কখনও অবনতি হয়েছে। ছিল নানা শঙ্কাও। তবে কখনও হাল ছাড়েননি তার পরিবারের সদস্যরা, চালিয়েছেন চিকিৎসা।