• আজ ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী | আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা |

নিষেধাজ্ঞা,তবুও চলছে মা ইলিশ নিধনের মহা উৎসব’নিরব ভুমিকায় জেলা  মৎস্য  কর্মকর্তা 

| নিউজ রুম এডিটর ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ | অক্টোবর ১৪, ২০২৩ সারাদেশ
কাঠালিয়া প্রতিনিধিঃ মা ইলিশ রক্ষা পেলে, দেশে প্রচুর ইলিশ মেলে। এই স্লোগান যেন শুরু লিফলেট, ব্যানার আর আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ।
 
দেশে এখন চলছে ইলিশের প্রজনন মৌসুম। সরকারিভাবে এ সময় ইলিশ নিধন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিশখালী নদীতে ইলিশ মাছের বিচরণ আছে, সেখানে চলছে অবাধে এ মাছ শিকার। মৎস্য কার্যালয় থেকে অভিযান চালানো হলেও তা খুব একটা কার্যকর প্রভাব ফেলতে পারছে না। ১২ অক্টোবর থেকে ২’ই নভেম্বর  পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ সময় ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকলে বিশখালীতে চলছে মা ইলিশ নিধনের মহা উৎসব। থেমে নেই যুবক, বৃদ্ধ ও শিশু-কিশোররাও। সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নেমে পড়েছে মা ইলিশ ধরার উৎসবে। অজ্ঞাত কারণে সকলে নীরব হয়ে আছে।
এলাকার নদ-নদীতে বেশ কিছুদিন থেকে ডিমওয়ালা ইলিশের ঝাঁক ধরা পড়ায় আসন্ন মূল প্রজনন মৌসুমে জাতীয় এ মাছের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলেন মন্তব্য করছেন সচেতন মহল। কিন্তু সরকারি আদেশ অমান্য করে কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় বিশখালীর বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে মা-ইলিশ নিধনের মহা-উৎসব। বড় ইলিশের সঙ্গে বাদ পড়ছে না ছোট আকারের জাটকাও। বিশখালী নদী এখন যেন ইলিশ শিকারির দখলে। নদীতে তাকালেই নজর পড়ছে ইলিশ ধরার নৌকা। নদীর পাড়ে প্রকাশ্যে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে ইলিশ। উপজেলা র্নিবার্হী  অফিসার মোঃ নেছার উদদীন  তাৎপড়তা থাকলেও। উপজেলা মৎস্য  বিভাগের  সে রকম কোনো তাৎপড়তা না থাকায়। জেলে, মাঝি এবং জনগণ সবাই ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়ের মেতে উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিমত, ইলিশ প্রজনন রক্ষা অভিযান তো নয়, এ যেন ইলিশ নিধন, বিক্রি, সংগ্রহ এবং কম দামে ইলিশ খাওয়ার উৎসব।প্রশাসন কিংবা মৎস্য দপ্তরের অভিযান যথাসময় পারিচালিত না হওয়ায় সমূলে ইলিশ ধ্বংসযজ্ঞের মহড়া বেশি হচ্ছে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না মা ইলিশ নিধন। বিশখালীতে যে হারে ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ আহরণ হচ্ছে, আগামী ভরা মওসুমে ইলিশ উৎপাদনে এ বছরের চেয়েও আরো খারাপ পরিস্থিতি হবে। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেরই অভিযোগ, কিছু রাজনৈতিক লোকজন গোপনে ভয়ভিতি দেখিয়ে জেলেদের মাছ আটক করে নিয়ে যায়।
কিন্তু যারা মাছ বিক্রি এবং আড়তদারি করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয় উপজেলা মৎস্য কমর্কর্তা  এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমাদের অভিযান বহাল আছে, তবে তেমন তাৎপরতা না থাকায়, আভিযান অনেকটা সফল হচ্ছে না।
 তিনি আরো বলেন  মানুষ জনের অভিযোগ শুধু মৎস্য  উপর। আমরা চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি।
তবে স্থানীয়রা জনগন সচেতন থাকলে আরো ভালো হবে।নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে বলেন অভিযানে নামার সময়ে মৎস্য অফিসের  মোঃ রাকিব  আমাদের জানিয়ে দেন, আমরা তখন বোতলের সাথে ধরি বেধে ছেড়ে দি জাল নদীতে” প্রথম পর্ব