• আজ ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম: হাসনাত | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব | টাকা ছাপিয়ে আবারও ২৫শ কোটি টাকা ঋণ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক | মাগুরার নোমানী ময়দানে সেই শিশুর জানাজা অনুষ্ঠিত | মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন মাগুরার সেই আছিয়া | এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি |

‘খালেদা জিয়ার অবস্থা উদ্বেগজনক’

| নিউজ রুম এডিটর ১:৫১ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ২৪, ২০২৩ বিএনপি, রাজনীতি, লিড নিউজ

 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। বারবার আমরা বলে আসছি উনার অবস্থা উদ্বেগজনক। সোমবার রাতেও তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। এখনও তিনি সেখানেই আছেন।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ তথ্য জানান।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মঙ্গলবার সকালে ম্যাডামের চিকিৎসকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি এখনো সিসিইউতে আছেন। বেশ উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া। এরমধ্যে বেশ কয়েক দফা তাকে সিসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসে পানি জমে যাওয়ায় সোমবার রাত পৌনে ৪টার দিকে তাকে হাসপাতালের সপ্তম তলার কেবিন থেকে চতুর্থ তলায় সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তিনি শারীরিকভাবে খুব দুর্বল বলে জানা গেছে।

এর আগে ১০ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

৭৮ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

এর আগেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১০ জুন রাত পৌনে ৩টার দিকে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

গত বছরের ১০ জুন গভীর রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পরে দ্রুত এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে একটি রিং বসানো হয়। হার্টের দুটি ব্লক এখনো রয়ে গেছে।

এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। গত বছরের ২২ আগস্টও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ পর ২৮ আগস্ট ফের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ভর্তি করানো হয়। দুদিন হাসপাতালে থাকার পর ৩১ আগস্ট বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। এর পর কয়েক দফা তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।