• আজ ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম: হাসনাত | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব | টাকা ছাপিয়ে আবারও ২৫শ কোটি টাকা ঋণ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক | মাগুরার নোমানী ময়দানে সেই শিশুর জানাজা অনুষ্ঠিত | মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন মাগুরার সেই আছিয়া | এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি |

সাউথ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ উপার্জনের অভিযোগ

| নিউজ রুম এডিটর ৯:৪০ অপরাহ্ণ | মার্চ ১৫, ২০২৫ অপরাধ-দুর্নীতি

 

*কাজী নাবিলের অবৈধ অর্থ নিজের হিসাবে সংরক্ষণ
*ছয়টি ব্যাংকে ৯৩৯ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট
*আয়করে গোপন করেছেন সম্পদের হিসাব
*তেজগাঁওয়ে ২৫০ কোটি ও বনানীতে ৩০০ কোটি টাকার ফ্ল্যাট
*স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ টাকার অঙ্কে আনুমানিক ১০০০ কোটি

 

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ ও করবহির্ভূত অর্থ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদের উপার্জিত অবৈধ অর্থ তার নিজের ও স্ত্রী-সন্তানদের হিসাবে সংরক্ষণ করছেন, এমন অভিযোগ এসেছে রাজস্ব বোর্ড ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি মো. আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তি এমন অভিযোগ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ (বিএফআইইউ) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর)। এসব অভিযোগে বলা হয়েছে, বিএন্ডটি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মো. মোখলেছুর রহমান ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত কাজী নাবিলের মালিকানাধীন জেমকন গ্রুপের বেতনভুক্ত কর্মকর্তা ছিলেন।

এ সময় তিনি কাজী নাবিলের বিশ্বস্ততা অর্জন করায় জেমকন গ্রুপের বেনামি অর্থায়নে বিএন্ডটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন মোখলেছুর রহমান। পাশাপাশি কাজী নাবিলের অবৈধ অর্থে নিজ স্ত্রী ও সন্তানদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন যার অনেক কিছুই আয়করে গোপন করেছেন।

এছাড়া ছয়টি ব্যাংকের ৯৩৯ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রেখেছেন যা তিনি আয়করে প্রদর্শন করেননি। এর মধ্যে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের ৩শ কোটি টাকা, এনসিসি ব্যাংকের ২২০ কোটি টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংকের ২১৬ কোটি টাকা, শাহজালাল ব্যাংকের ১৮৫ কোটি টাকা, ইউসিবিতে ৫৪ ও স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ৬৪ কোটি টাকা এফডিআর রয়েছে।

এছাড়াও তার নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে আমাদের হাতে কিছু সম্পদের তথ্য এসেছে। বর্তমানে মোখলেছুর রহমানের নামে ঢাকার তেজগাঁও লিংক রোডে শান্তা ওয়েস্টান টাওয়ারে ছয়টি বাণিজ্যিক ফ্লোর রয়েছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২৫০ কোটি টাকা এবং কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ বনানীতে ১৫ তলা বিশিষ্ট একটি বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা।

এছাড়াও তার নামে বসুন্ধারা আবাসিকের আই ব্লকে ১০ বিঘা জায়গা রয়েছে যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০০ কোটি টাকা এছাড়াও তার নামে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদাহ ও পঞ্চগড় জেলায় সব মিলিয়ে ৩০৩ বিঘা সম্পত্তি বা জমি পাওয়া গেছে, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১০০০ (এক হাজার) কোটি টাকার ওপর। এছাড়াও তার ছেলে-মেয়ে ও বউয়ের নামে বনানী ও গুলশানে একাধিক বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি কাজী নাবিলের অবৈধ অর্থের রক্ষণাবেক্ষণকারী হয়েও জুলাই বিপ্লবের পর সুকৌশলে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন মোখলেছুর রহমান। এখানে এসে তিনি ব্যাংকের নিয়মিত কার্যক্রমে অবৈধ হস্তক্ষেপ করছেন। পাশাপাশি নিজ সিন্ডিকেটের ব্যক্তিদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন। এর মধ্যে ডিএমডি নাজিমুদ্দৌলাকে অবৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছেন এবং এনআরবিসি ব্যাংকের অতিরিক্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবিউলকে এই ব্যাংকের নতুন এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য অফার লেটার দিয়েছেন। কিন্তু অতিরিক্ত এমডি রবিউল সাহেবের নামে অলরেডি দুদকে মামলা চলমান রয়েছে। এতেই বুঝা যায় যে, অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই এবং ব্যাংক থেকে টাকা বের করার পরিকল্পনা আঁটছেন।

এ প্রসঙ্গে সাউথ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মোখলেছুর রহমানের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিভিভ করেননি।