

‘আমরা তিস্তা পাড়ের মানুষের আশা আকাংখার
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছি’
হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম: ‘আমরা তিস্তাপাড়ের মানুষের আশা আকাঙ্খার কথা গণশুনানিতে শুনে সেগুলো পরিকল্পনায় অন্তভর্‚ক্ত করেছি। এখন সরকারের অন্য দুইটি পর্যায়ে এই পরিকল্পনা নিয়ে অক্টবরের মধ্যে চ‚ড়ান্ত ডিজাইন দিবে। এরপর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কি পরিমাণ অর্থ লাগবে সেগুলো নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দর কষাকষি হবে। এরপর তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।’ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিঁতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি স্থানীয় মানুষদের আস্বস্থ্য করে আরও বলেন, ‘তিস্তা আমাদের নদী। ভাটির দেশ হিসাবে তিস্তা নদীর ওপর আমাদের অধিকার আছে। আমাদের স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে এই তিস্তা নদী কিভাবে সুরক্ষিত রাখতে পারি তার জন্য আমরা তিস্তার পাঁচটি স্থানে গণশুনানী করেছি। ইতিপূর্বে আমরা ১৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার অতিভাঙন প্রবণ এলাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিয়েছি। নতুন করে কোথাও ভাঙন দেখা দিলে সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন ‘স্থানীয় জনগণ তিস্তা নদীতীরে স্থায়ী বাঁধের দাবী করছেন। একটা দেড় বছরের সরকারের কাছে অল্প সময়ে এতো দাবী করলে আমরা কিভাবে করবো। ইতিপূর্বে তিস্তা নদীর বিভিন্ন স্থানে আমরা পাঁচটি গণশুনানি করেছি। এগুলো সরকারের নীতি নির্ধারণে পর্যায়ে জমা হয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার ডিজাইন চ‚ড়ান্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৬ সালে চীনের সাথে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে স্বাক্ষর হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ বেশিদূর আগায়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে আবারও তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন সরকারের কথাবার্তা শুরু হয়েছে।’
পরে তিনি তিস্তা নদীতীর রক্ষায় চলমান জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি তিস্তাপাড়ের ভাঙন কবলিত নারী ও পুরুষদের সাথে কথা বলেন। তাদের খোঁজখবর নেন। কুড়িগ্রামের রাজাহাট ও উলিপুর উপজেলার ২৪ টি পয়েন্টে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্ব সতর্কতামূলক তিস্তা নদীর বাম তীর সংরক্ষণের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। চলমান কাজের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।
পরিদর্শনকালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর মহাপরিচালক এনায়েত উল্লাহ, উওরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহবায়ক ড. আতিক মোজাহিদ প্রমূখ।