• আজ ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭০ বছরেও নির্মিত হয়নি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার

| নিউজ রুম এডিটর ৮:১৬ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২ ঢাকা, সারাদেশ

কামাল হোসেন, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ আজ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন ২১ফেব্রুয়ারি। এদিন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়। তবে প্রতিবারের মতো এবারও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে ১২নং রুদ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

গাজীপুর সদর উপজেলার ১২ নং রুদ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭০ বছর পার হতে চললেও গড়ে উঠেনি গৌরবের শহীদ মিনার। অথচ ২১ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।

স্কুলটি গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড রুদ্রপুর গ্রামে অবস্থিত। ১৯৩৯ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সারাদেশের শহীদ মিনারগুলোর পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। অথচ এই দিনে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত হবেন গাজীপুর সদর উপজেলার রুদ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা।

কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও সাংবাদিক শাহান সাহাবুদ্দিন বলেন, এটি দুঃখজনক, মহান ভাষা শহীদদের রক্ত, ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতীক শহীদ মিনার। জাতির বিনির্মাণে বড় ভূমিকা রাখা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই নেই শহীদ মিনার, তাও শিক্ষার শুরুটা এখান থেকে, প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে। আমাদের প্রজন্ম না ধারণ করতে পারবে ভাষা-আন্দোলনের চেতনা, না মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। অথচ সূ-নাগরিক ও যোগ্য মানুষ হয়ে ওঠার পিছনে ইতিহাস ও কিংবদন্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের বীজ রোপিত হয়েছিলো ভাষা-আন্দোলনে।

এদিকে ১৯ শে মার্চ, ১৯৭১ জয়দেবপুর জন্ম দিয়েছিলো কিংবদন্তির। এ কিংবদন্তির মহানায়ক শহীদ হুরমত আলী, মনু খলিফা প্রমুখ। সেই জয়দেবপুর তথা গাজীপুর সদরের রুদ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার! এ ব্যর্থতা আমাদের, এ ব্যর্থতা সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তি ও রাষ্ট্রযন্ত্রের। আমি বিপন্নবোধ করছি, একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও দায়িত্বশীল কর্তাদের কাছে সংক্ষুব্ধ হয়ে দ্রুত শহীদ মিনার বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখার দাবি জানাচ্ছি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছালমা বেগম বলেন, শহীদ মিনারের জন্য আমরা ইতিমধ্যে বরাদ্দের চেক হাতে পেয়েছি। অতি তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামিম আহম্মেদ বলেন, ইতিমধ্যে স্কুলটিতে শহীদ মিনারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত কাজ শুরু হবে।