• আজ ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিকল্প খেলার মাঠ ব্যবস্থা করা পুলিশের এখতিয়ার নয়: ডিএমপি

| নিউজ রুম এডিটর ৮:০২ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ২৬, ২০২২ বাংলাদেশ, লিড নিউজ

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলেছে, ‘তেঁতুলতলা খেলার মাঠে নয়, জনস্বার্থে সরকার কর্তৃক বরাদ্দ দেওয়া জমিতেই কলাবাগান থানা করা হচ্ছে। ডিএমপি কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না।’

বিকল্প খেলার মাঠ ব্যবস্থার বিষয়টি ডিএমপির এখতিয়ারভুক্ত নয় জানিয়ে ডিসি ফারুক ডিএমপির পক্ষ থেকে পরামর্শ দেন, প্রস্তাবিত থানার জায়গা তেঁতুলতলা মাঠ থেকে কিছু দূরে কলাবাগান মাঠ রয়েছে। সেখানে বাচ্চাদের খেলাধুলাসহ সামাজিক অনুষ্ঠান করার সুযোগ রয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে ডিএমপি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে কলাবাগান থানার জন্য ধানমণ্ডি মৌজার ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন ২০১৭-এর সকল বিধি-বিধান অনুসরণ করা হয়েছে। কলাবাগান থানার জন্য অধিগ্রহণকৃত ০.২০ একর জমি জরিপ অনুযায়ী সরকারি সম্পত্তি এবং সরকারের পক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন।

জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কলাবাগান থানার জন্য ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়। সরকারি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে রাজউকের কোনো আপত্তি নেই মর্মে ছাড়পত্র পাওয়া যায়। জায়গাটির প্রস্তাবিত ভূমি আরবান রেসিডেন্সিয়াল জোন হিসেবে চিহ্নিত আছে মর্মে নগর উন্নয়নের ছাড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তিপত্র পাওয়া গেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ওই জমিতে এলাকাবাসীর নিরাপত্তার সুবিধার্থে স্থায়ীভাবে কলাবাগান থানা স্থাপনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর ডিও লেটার প্রদান করেছেন। ঢাকা জেলা প্রশাসক সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে জমি অধিগ্রহণের জন্য সুপারিশসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের মতামত প্রেরণ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি জানিয়েছে, সরকারের কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে কলাবাগান থানার জন্য ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জমির ক্ষতিপূরণ মূল্য বাবদ ডিএমপি কমিশনার বরাবর ২৭ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ৭১০/৯২ টাকার প্রাক্কলন প্রেরণ করেন ঢাকার জেলা প্রশাসক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সে টাকার ব্যয় মঞ্জুরি পাওয়া যায়। ঢাকা জেলা প্রশাসককে প্রাক্কলিত টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়।