• আজ ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে কুরবানির পশুর হাট | এসি মিলানকে কাঁদিয়ে ৫১ বছর পর শিরোপা জয় বোলোগনার | ‘আতঙ্কের’ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ করতে ৭ সিদ্ধান্ত | পরিবারের আপত্তিতে কবর থেকে লাশ তুলতে পারলেন না নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  | প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-লিট ডিগ্রি দিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় | দেশের অর্থনীতি পাল্টাতে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের ভরসা : প্রধান উপদেষ্টা | আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র | কেন প্রকাশ্যেই ভারতের পক্ষে দাঁড়িয়েছে ইসরাইল? | আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, যা জানাল ভারত | ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হলো না আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে |

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ফাঁসির আসামি আব্দুল হাই গ্রেফতার

| নিউজ রুম এডিটর ১১:২২ অপরাহ্ণ | মে ২৫, ২০২২ আইন ও আদালত, লিড নিউজ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা হামলা ও রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম বাংলাদেশের (হুজি-বি) প্রতিষ্ঠাতা আমীর মুফতি আব্দুল হাইকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (২৫ মে) রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গ্রেফতার মুফতি আব্দুল হাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা হামলা ও রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়াও তিনি একাধিক মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজি-বির প্রতিষ্ঠাতা আমীর। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলেও জানান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন একটি মামলা করেন।

পরে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট এ মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গির সর্বোচ্চ শাস্তি দেন। আদালত গুলি করে প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। এছাড়াও চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।

অন্যদিকে ২০০১ সালের পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত ও ২০ জন আহত হন। এরপর ওই ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৪ সালের ২৩ জুন হত্যা মামলাটির রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। রায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, মুফতি আব্দুল হাই, বিএনপি নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।