• আজ ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি | হত্যাকান্ড ধামাচাঁপা দিতে ওসির ‘জজ মিয়া’ নাটক | নারী নিপীড়ন ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি | শেখ হাসিনা-রেহানা পরিবারের জমি-ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ | মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামি রিমান্ডে | গাড়ি চাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত বনানী – মহাখালী রাস্তা অবরোধ | আশুলিয়া ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি |

ভোলায় স্বস্ত্রীক হামলার শিকার সাবেক সাংসদ মেজর অব: জসিম

| নিউজ রুম এডিটর ১২:২২ পূর্বাহ্ণ | মে ৩০, ২০২২ গণমাধ্যম

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ভোলা ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর অব: জসিম উদ্দিন স্বস্ত্রীক হামলার শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে হামলার বর্ণনা দিয়ে আজ তিনি নিজ ফেসবুকে আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরে হলোঃ

আমি মেজর জসিম ২৭ মে ২০২২ লালমোহনে আাসি। আজ বৃষ্টির ভেতরে আমি ও আমার স্ত্রী তজুমদ্দিনে যাই। যোহর নামাজের সময় পথের পাশে এক মসজিদে নামাজ পড়ি। সেসময় একটি ছেলে আমার গাড়ির ছবি তোলে। আমরা তজুমদ্দিনে প্রবেশ পথে যে মুহুর্ত্বে থানার গেট বরাবর পৌছি তখন ২০/২৫ জনের একটি দল আমাদের পথ রোধ করে দাড়ায়। যার নেতৃত্বে ছিল ফজলু দেওয়ানের নাতি। তারা গালিগালাজের সাথে আমাদের গাড়ির উইন্ডশিল্ডে ইট দিয়ে আঘাত করে। গাড়িতে বারবার আঘাত করার সাথে সাথে আমার স্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে তাদের প্রতিহত করতে উদ্দত হলে আমিও নেমে পড়ি। আমার গাড়িতে থাকা স্কিপিং রোপ দিয়ে দুজনকে আঘাত করলে তার পাশের কাঠের দোকান থেকে লম্বা কাঠের ফালি নিয়ে তেড়ে আসে। আমি উপায়অন্তর না দেখে আমার পকেটের পিস্তল বের করলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে আমরা উত্তেজিত অবস্থায় তাদের বিলম্বের কারন জানতে চাই। আমাদের উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আমি ও আমার স্ত্রী বাজারের ভিতর কিছুক্ষন হাটি। পুলিশ আমাদের ড্রাইভারকে দিয়ে গাড়িটা থানার ভেতরে নিয়ে রাখে।

কিছুক্ষন পর সন্ত্রাসী চক্র আরও দল ভারি করে থানার সামনে আসে। এবং পুলিশের উপস্থিতিতেই গালিগালাজ করতে থাকে। পুলিশ সদস্যরা আমাদের থানার ভিতর নিয়ে আসলে তারাও থানার ভিতর প্রবেশ করে আমার গাড়ির পেছনের কাচ ভেঙ্গে ফেলে। আমার ড্রাইভার থেকে তার মোবাইল কেড়ে নিতে চাইলে ধস্তাধস্তি হয়। ড্রাইভারের কাছে থাকা আমার মোবাইলটি ঘাসের দিকে ছুড়ে মারে। আমি এগিয়ে গিয়ে আবারও স্কিংপিং রোপ দিয়ে আঘাত করলে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে ড্রাইভার ঘাসের ভেতর থেকে মোবাইলটি কুড়িয়ে এনে আমাকে দেয়।

অতপর সন্ত্রাসী চক্র থানার সামনেই স্লোগান দিতে থাকে। তাদের স্লোগান ছিল সংসদ সদস্য নুরনবী চৌধুরীর পক্ষে। আমি থানার বারান্দায় বসে সংস্লিষ্ট সকলকে অবগত করি। এবং জেলা প্রশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটি কাগজে হাতের লিখে একটি সাধারন ডাইরী করি। অতপর পুলিশ আমাকে লালমোহনের কালমা পর্যন্ত এগিয়ে দেয়। আমি সেখান থেকে গজারিয়া আমার বাসায় চলে আসি।

থানার কম্পাউন্ডে বসা অবস্থায় তাদের আলোচনা থেকে বুঝতে পারি যে এটা অনেকটা পূর্ব পরিকল্পিত। থানার সিসি ক্যামেরা বলে দিবে কারা এই আক্রমনের সাথে জড়িত।