ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মরদেহ। কোথাও তিনটি, কোথাও দুটি। এভাবেই ঘরের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে আছে মোট ৯টি মরদেহ। ভারতের মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার একটি পরিবারের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) এনডিটিভির খবরে বলা হয়, পুলিশ বলছে এটি একটি সংঘবদ্ধ ‘আত্মহত্যা’র ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে,পরিবারসহ ‘আত্মহত্যা’ করা দুই ভাই বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ ধার করেছিলেন।
দ্য হিন্দু ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, সাংলির এসপি দিক্ষিত গেদাম জানিয়েছেন, বাড়িতে মোট ৯টি মরদেহ পাওয়া গেছে। একটি জায়গায় পাওয়া গেছে তিনটি মরদেহ। অন্য ছয়টি মরদেহ ঘরের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া গেছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মৃতদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-পোপাট ইয়ালাপ্পা ভানমোর (৫২), সঙ্গীতা পোপাট ভানমোর (৪৮), অর্চনা পোপাট ভানমোর (৩০), সুভম পোপাট ভানমোর (২৮), মানিক ইয়ালাপ্পা ভানমোর (৪৯), রেখা মানিক ভানমোর (৪৫), আদিত্য মানিক ভানমোর (১৫), অনিতা মানিক ভানমোর (২৮) ও আক্কাটাই মানিক ভানমোর (৭২)।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মরদেহগুলোতে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সন্দেহ করা হচ্ছে, আর্থিক সমস্যার কারণে বিষাক্ত পদার্থ খেয়ে তারা ‘আত্মহত্যা’ করে থাকতে পারেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামের একটি মেয়ে মানিক ভানমোরের বাড়িতে যাওয়ার পর এই ঘটনা সামনে আসে। ওই বাড়ি থেকে কেউ না কেউ প্রতিদিন দুধ আনতে যেতেন। কিন্তু সোমবার (২০ জুন) সকালে এমনটা না ঘটায় ওই মেয়ে মানিকের বাড়িতে গিয়ে তাদের মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
সূত্র: দ্য হিন্দু, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস