আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা ছয় বছরের শিশু সন্তান রেখে ভাগিনার হাত ধরে অজানা উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন মামী সেলিনা আকতার(২৫)। এমন ঘটনায় এলাকাজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে।
শুক্রবার (২৪জুন) বিকেলে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বামী আবদুল্লাহ।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল ১০ টার দিকে মেয়ের স্কুল ড্রেস কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে উদাও হন সেলিনা আকতার।
এরপর আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে এই বিষয়ে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী আবদুল্লাহ ।
আব্দুল্লাহ এর স্ত্রী পরকীয়ার টানে ভাগিনার হাত ধরে (স্বামীর চাচাতো বোনের ছেলের সাথে) পালিয়ে গেছে ।
মামী সেলিনা আকতার (২৫) ওই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের একাব্বর আলীর মেয়ে।
ভাগীনা সফিউল ইসলাম সফি (১৬) একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দুলাল হোসেনের ছেলে। সে আসন্ন এস এস সি পরীক্ষার্থী।
আবদুল্লাহর দুলাভাই আনছার আলী বলেন, গত দুই বছর ধরে সেলিনা ও ভাগীনা সফির মন দেওয়া নেয়ার সম্পর্ক। এনিয়ে অনেকবার স্থানীয়ভাবে শালিস হয়েছে। গত একমাস আগেও এ নিয়ে এলাকায় শালিস বৈঠক হয়েছে কিন্তু কোন ভাবেই তাদের ভালবাসার সম্পর্ক ছিন্ন করা গেল না।
সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ বলেন, ৬ বছরের একটি মেয়েকে রেখে কিভাবে ভাগীনার হাত ধরে পালালো সেলিনা। যাওয়ার সময় সে আমার টাকা পয়সা সব নিয়ে গেছে, এখন আমি অসহায়। আমি কিভাবে মানুষকে মুখ দেখাবো বলে কান্নায় ভেঙে পরেন তিনি। স্ত্রী সন্ধান না পেয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিা
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একই ইউনিয়নের ২০১৫ সালে সেলিনা আকতার এর সাথে বিয়ে হয় আবদুল্লাহর ।
গত দুই বছর ধরে আবদুল্লার চাচাতো বোন বুলবুলি বেগমের ছেলে শফিউল ইসলাম সফির সাথে সেলিনা আকতারের পরকিয়া প্রেম চলছিলো। সেই প্রেমের টানে গতকাল বৃহস্পতিবার সুযোগ বুঝে তারা বাড়িতে রাখা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।